দামি উপহার পাঠানোর লোভ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের ৪ নাইজেরিয়ানসহ ৫ জনকে আটক করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কাফরুল ও পল্লবীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গতকাল র্যাব-৪ এর পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়, এরপর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এই সম্পর্কের পর চলতে থাকে কথাবার্তা। একপর্যায়ে দামি উপহার পাঠানোর লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করত চক্রটি। এ অভিনব পদ্ধতিতে অনেক লোকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল তারা। এরকম খবর পেয়ে অনুসন্ধানে নামে র্যাব। অনুসন্ধান শেষে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে আটক পাঁচজনের মধ্যে চার নাইজেরিয়ান হলেন- অনুরাহ নামদি ফ্রাংক (৩২), উদেজে ওবিনা রুবেন (৪১), মাচদুহু কেলভিন (৪২) ও ফ্রাংক জ্যাকব (৩৫)। এ চক্রের আরেকজন বাংলাদেশি হলেন টুম্পা আক্তার (২৩)।
র্যাব জানায়, টুম্পা আক্তার নিজেকে বাংলাদেশের একজন কাস্টমস কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। আটক পাঁচজনের কাছে দুটি মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট, ব্যাংকে টাকা জমার বই, চেকবই, ১২টি মোবাইলফোন, একটি প্রাইভেট জিপ গাড়ি, নগদ তিন লাখ টাকাসহ হোয়াটসঅ্যাপ-ইমো-ফেসবুকে কথোপকথনের স্ক্রিনশটের কপি জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে- দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় থাকা নাইজেরিয়ান নাগরিকদের একটি চক্র অভিনব কায়দায় বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারা নিজেদের যুক্তারষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার একপর্যায়ে তারা বাংলাদেশে দামি উপহার পাঠানোর প্রলোভন দেখায়। এর কিছুদিন পর বাংলাদেশের কাস্টম অফিসার পরিচয়ে এক নারী উপহার আসার কথা বললে সে প্রলোভন বিশ্বাসযোগ্যতা পায়। এ সময় তাদের জানানো হয় যে, উপহারের পার্সেলটি ছাড়াতে কাস্টমস ভ্যাট অথবা শুল্ক বাবদ টাকা জমা দিতে হবে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী এ কথা সেই বিদেশি প্রতারক বন্ধুকে জানালে সে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা পাঠানোর কথা বলে। টাকা পাঠানো হলে তা আত্মসাৎ করত চক্রটি।