শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

খোঁজ মিলেছে ৬ রকমের করোনার

ব্রিটিশ গবেষণা

প্রতিদিন ডেস্ক

এবার করোনার নতুন আপডেট মিলেছে। ব্রিটিশ একদল গবেষক জানিয়েছেন, তারা ব্রিটেন ও আমেরিকার প্রায় ১ হাজার ৬০০ জন করোনা রোগীর ওপর সমীক্ষা চালিয়ে ৬ রকমের করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পেয়েছেন। সূত্র : জিনিউজ।

ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে ৮-১০ দিন পর্যবেক্ষণের পর রোগীদের থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে লন্ডনের কিংস কলেজের এ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ৬ রকমের করোনাভাইরাসের উপসর্গগুলোও ভিন্ন ভিন্ন ধরনের। যেমন-

১. এক ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গা, হাত-পা ব্যথা, গলাব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গগুলোর পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকে এবং জ্বর তিন দিনের বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

২. আরেক ধরনের করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে আক্রান্তদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক     থাকে। জ্বর না থাকলেও গা, হাত-পা ব্যথা, গলাব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, সর্দির মতো উপসর্গগুলো দেখা যায়। ৩. অন্য এক ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে দু-তিন দিন ধরে পেটে ব্যথা, পেট কামড়ানো বা  মোচড় দেওয়া, ডায়রিয়া, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, গলাব্যথা, মাথা যন্ত্রণার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তবে এক্ষেত্রে ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে জ্বর বা সর্দি-কাশির মতো সমস্যাগুলো থাকে না। ৪. আরেক ধরনের করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে আক্রান্তদের মধ্যে গলাব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, সর্দি-কাশি, জ্বরের পাশাপাশি সারাক্ষণ ক্লান্তি ও অবসন্নভাব লক্ষ্য করা যায়। ৫. এক ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গলাব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, সারাক্ষণ ক্লান্তি ও অবসন্নভাব, চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রে বিভ্রান্তির মতো সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। এর সঙ্গে সামান্য জ্বরও থাকে। ৬. এক ধরনের করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে আক্রান্তদের মধ্যে গলাব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, পেটে ব্যথা, ডায়েরিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশির পাশাপাশি শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও লক্ষ্য করা যায়। এ ক্ষেত্রে রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমতে থাকে।

সর্বশেষ খবর