শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

তেজি পাখি সিপাহি বুলবুল

তেজি পাখি সিপাহি বুলবুল

দেশের সর্বত্রই কমবেশি নজরে পড়ে তেজি পাখি সিপাহি বুলবুল। এরা ‘বাংলা বুলবুল’-এর জ্ঞাতি ভাই। চেহারায়ও বেশ মিল রয়েছে। সুলভ দর্শন এবং স্থানীয় প্রজাতির পাখি হলেও বাংলা বুলবুল পাখির মতো অত ব্যাপক বিচরণ নেই। এলাকাভেদে দু-এক জোড়ার বেশি নজরে পড়ে না। এ পাখি বেশির ভাগই মানুষের বসতির কাছাকাছি বিচরণ করে। গেরস্তের ফল-ফলাদি খেয়ে নষ্ট করলেও তা পুষিয়ে দেয় মিষ্টি কণ্ঠের গান শুনিয়ে। এরা বেশ সাহসী, রাগী, চঞ্চলমতি। স্থিরতা নেই। মানুষ এদের বিরক্ত না করলে মাথায় চড়ে বসে। দেখা যায়, একেবারে বসত ঘরের কাছে এসেও বাসা বাঁধে। সেখানে যদি কোনো ধরনের বিগ্ন না ঘটে তাহলে ফি বছর সেখানে ডিম দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। এক সময় রাজধানীতেও এদের বিচরণ ছিল। বর্তমানে শহরাঞ্চলে খুব একটা নজরে পড়ে না।

পাখির বাংলা নাম : ‘সিপাহি বুলবুল’, ইংরেজি নাম- ‘রেড হুইস্কারড’, (Red-whiskered Bulbul) বৈজ্ঞানিক নাম-  Pycnonotus jocosus। দেশে মোট নয় প্রজাতির বুলবুল নজরে পড়ে। যথাক্রমে বাংলা বুলবুল, সিপাহি বুলবুল, মেটে বুলবুল, কালামাথা বুলবুল, কালাঝুঁটি বুলবুল, কালচে বুলবুল, কালা বুলবুল, ধলাগলা বুলবুল ও জলপাই বুলবুল।

প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটার। মাথায় খাড়া কালোঝুঁটি। গলা, বুক ও পেট সাদা। গালের দুই পাশ সাদা। চোখের নিচের দিকে উজ্জ্বল লাল। গলা পেটের সন্ধিস্থলে কালো সরু ডোরা। পিঠ থেকে লেজের উপরাংশ পর্যন্ত কালচে-বাদামি। লেজের প্রান্ত কালচে। ঠোঁট ও পা কালচে। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম।

প্রধান খাবার : ফল, ফুলের মধু ও ছোট পোকামাকড়।

প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে জুন। গাছের নিচু ডালে পেয়ালা আকৃতির বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ২-৩টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১২-১৫ দিন।

লেখক : আলম শাইন, কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও বন্যপ্রাণী বিশারদ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর