ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেইফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিস (এফডিএসআর) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টন বলেছেন, কভিড-১৯ রোগের চিকিৎসা নিয়ে শুরু থেকেই অব্যবস্থাপনা দেখা গেছে। ফলে আজকে সমগ্র চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থাই আস্থার সংকটে ভুগছে। সেবা পাচ্ছে না অন্য রোগের রোগীরাও। সমন্বয়হীনতা, সিদ্ধান্তহীনতা ও দুর্বৃত্তায়নে বাড়ছে রোগী ভোগান্তি। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি আরও বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের সম্ভাব্য পরিস্থিতি অনুধাবনে ব্যর্থ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর। আগে থেকে আসলে তেমন কোনো প্রস্তুতিই ছিল না। ফলে, যখন করোনা সংক্রমণের হার বাড়ল তড়িঘড়ি করে তা সামলাতে গিয়ে নন-কভিড রোগীদের চিকিৎসা সেবাও ব্যাহত হলো। নিম্নমানের সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করে ডাক্তারসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীর জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হলো। অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতি, পর্যাপ্ত আইসিইউ বেড না থাকাসহ নানামুখী সীমাবদ্ধতার কারণে রোগীরাও ঠিকমতো চিকিৎসাসেবা পেল না। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টন বলেন, বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতকেও শুরুতে কভিড-১৯ চিকিৎসা ও করোনা পরীক্ষায় সম্পৃক্ত করা হয়নি, এটাও ভালো কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। করোনা সংক্রমণের পরীক্ষার জন্য নানারকমের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে মানুষকে। সেই সঙ্গে রিজেন্ট, জেকেজির মতো দুর্বৃত্ত প্রতিষ্ঠানের করোনা পরীক্ষার নামে ফল জালিয়াতির ভয়াবহ খবরেও মানুষ হতাশ হয়েছে। সঙ্গত কারণেই মানুষ পরীক্ষা করার কিংবা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। সামগ্রিকতার পরিবর্তে স্বাস্থ্য খাত অনেকটা অ্যাডহক ভিত্তিতে চলছে।