বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

পাঁচ মাস পর মুখরিত সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঁচ মাস পর মুখরিত সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরু করায় দীর্ঘদিন পর আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী ও আদালত-সংশ্লিষ্টদের পদচারণে মুখরিত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। গতকাল থেকে ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চের পাশাপাশি ১৮টি শারীরিক উপস্থিতির বেঞ্চও বসতে শুরু করেছে হাই কোর্টে।

দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস পর নিয়মিত কার্যক্রম শুরু হওয়ার প্রথম দিনে উপস্থিত সবাইকেই মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবার তাপমাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে। আর আদালত কক্ষের সামনে এবং বিভিন্ন দফতরে প্রবেশের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলেও সারিবদ্ধ সবাইকে দাঁড়াতে দেখা গেছে। গত সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ৩৫টি ভার্চুয়াল ও ১৮টি শারীরিক উপস্থিতির হাই কোর্ট বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন। ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চের মধ্যে ২৪টি দ্বৈত ও ১১টি একক বেঞ্চ। আর ১৮টি শারীরিক উপস্থিতির বেঞ্চের মধ্যে ১৩টি দ্বৈত ও ৫টি হচ্ছে একক বেঞ্চ। এসব বেঞ্চে গতকাল সকাল থেকে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে হাই কোর্টের বিচারপতি এবং আইনজীবীদের নির্ধারিত ড্রেসের ক্ষেত্রে শিথিলতা আনা হয়েছে। এখন সাদা শার্ট-প্যান্ট/শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজ পরে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন বিচারপতি এবং আইনজীবীরা।

দীর্ঘদিন পর আদালতে আসতে পারার অনুভূতি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় যখন আদালত বন্ধ হলো প্রথমে কয়েক দিন ভালো লাগলেও পরে দম বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। আজ মনে হচ্ছে ভালোভাবে অক্সিজেন নিতে পারছি।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। একই সময় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় আদালতেও। পরে দফায় দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সবশেষ গত ১৬ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সরকার ৩০ মের পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কাজ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এরপর আইনজীবীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ৬ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল ফুলকোর্ট সভায় দুই মাধ্যমে হাই কোর্টে বিচার কার্য পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর