বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

সংক্রমণ কমার বদলে বাড়ছেই তৈরি হচ্ছে নতুন হুমকি

প্রতিদিন ডেস্ক

করোনাভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রায় আট মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এখনো এর মারণ গতি ঠেকানো যায়নি, বরং এ ভাইরাস বিভিন্ন দেশকে তছনছ করে এখন অন্তত তিনটি দেশকে বেসামাল অবস্থায় রেখেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভাইরাসের সংক্রমণ কমার বদলে শুধু বেড়েই চলছে, সেই সঙ্গে তৈরি করছে নতুন নতুন হুমকি।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী এখন মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে অন্তত ২ কোটি ৬ লাখ। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে দেশগুলো প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল সেখানেও এটি এখন ছড়িয়ে পড়ার হুমকি তৈরি করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আঞ্চলিক পরিচালক কারিসা এতিয়েন গণমাধ্যমকে জানান, মিলিতভাবে দুই আমেরিকা মহাদেশে দৈনিক ১ লাখেরও বেশি কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হচ্ছেন, যাদের অর্ধেকই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। মহাদেশ দুটির যে দেশগুলো প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিল, যেমন আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া, সেখানেও সংক্রমণ উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসকে চীন কয়েক মাস আগে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। ইতালিও অনেকটাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। ফ্রান্স নিয়ন্ত্রণ করেছে ৩০ হাজারের বেশি মৃত্যু দিয়ে। একইভাবে জার্মানি ৯ হাজার ২৬৮ জন, যুক্তরাজ্য প্রায় ৪৭ হাজার, ইরান ১৯ হাজার, মেক্সিকো ৫৪ হাজার, রাশিয়া ১৫ হাজার ২৬০ মৃত্যুর ভিতর দিয়ে পরিস্থিতিকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও ভারত কিছুতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। দেশটি তিনটিতে পাল্লা দিয়ে মৃত্যু ও আক্রান্ত প্রতিদিন বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার মানুষের। এ ছাড়া ব্রাজিলে ১ লাখ ৪ হাজার এবং ভারতে প্রায় ৪৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবারও যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১ হাজার ৫০৪ জন, ব্রাজিলে ১ হাজার ২৪২ জন এবং ভারতে ৮৩৫ জন। এদিন নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ভারতে ৬১ হাজার ২৫২ জন, ব্রাজিলে ৫৪ হাজার ৯২৩ জন এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৫৪ হাজার ৫১৯ জন।

 

সর্বশেষ খবর