রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

হটলাইনে কমছে ফোনকল

দেশে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৬৪৪, মৃত্যু ৩৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

হটলাইনে কমছে ফোনকল

দুই মাসের ব্যবধানে কভিড-১৯ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হটলাইনে সেবাপ্রার্থীর সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশের বেশি কমে গেছে। গত ১৫ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৬৫ হাজার ১৮৮ জন হটলাইনে ফোন করে সেবা গ্রহণ করেন। ১৫ জুলাই এ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০৩-এ। গতকাল তা নেমে আসে ৫৩ হাজার ২০৬-এ। দুই মাসের ব্যবধানে কভিড-১৯ নিয়ে হটলাইনে সেবাপ্রার্থীর সংখ্যা কমে গেছে ৬৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ১৫ জুন শুধু হটলাইন ১৬২৬৩ (স্বাস্থ্য বাতায়ন) নম্বরেই সেবা প্রদান করা হয় ৬৬ হাজার ৭৬৮ জনকে। গতকাল এ সংখ্যাটি ছিল মাত্র ৮ হাজার ৪৫০।

এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান, মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে আতঙ্ক কমে যাওয়ায় হটলাইনে ফোনকলের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বারবার কল করলেও কেউ রিসিভ করছে না। অনেক ক্ষেত্রে ১০-১২ বার চেষ্টা করে হয়তো কাউকে পাওয়া যাচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য বাতায়নের চেয়ে হটলাইন-৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে তুলনামূলক ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকে। এদিকে করোনা টেস্ট করতে দিয়ে সপ্তাহ পার হলেও ফলাফল না পাওয়ায় অনেকেই হটলাইনগুলোয় ফোন করছেন।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬২৫-এ। একই সময়ে ১২ হাজার ৮৯১টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৪৪ জন। এ নিয়ে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫২৫-এ। এ ছাড়া বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ১২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৩৫। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৫১ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৪২ আর মৃতের হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তার ২৪ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। এর ৩১ জন হাসপাতালে ও তিনজন বাড়িতে মারা গেছেন। মৃতের মধ্যে ২২ জন ছিলেন ষাটোর্ধ্ব, নয়জন পঞ্চাশোর্ধ্ব, দুজন চল্লিশোর্ধ্ব, একজন ত্রিশোর্ধ্ব। এর মধ্যে ১৬ জন ঢাকা, সাতজন চট্টগ্রাম, একজন রাজশাহী, সাতজন খুলনা, দুজন সিলেট ও একজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ এবং ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর