রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

গণস্বাস্থ্যে মিলবে প্লাজমা

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস বিভিন্ন রকম উপসর্গ সৃষ্টি করে। রোগ ভালো হলেও অনেককে খুব দুর্বল করে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে প্লাজমা প্রদানের বিষয়টি আরও বেশি করে প্রচার হওয়া দরকার। এ জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় প্লাজমা সেন্টার হওয়া দরকার। গতকাল বেলা ১১টায় ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নগর হাসপাতালে প্লাজমা সেন্টার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। গণস্বাস্থ্যের এই প্লাজমা সেন্টারে প্রতিদিন ২৫ জন করোনামুক্ত রোগীর রক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে বলে জানান তিনি। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটো অনকোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. এম এ খান এই প্লাজমা সেন্টারের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও নগর হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোলাম মো. কোরেইশী।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের কভিড-১৯ টেস্ট কিট উদ্ভাবক অণুজীব বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. শওকত আরমান, গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজির প্রধান অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. বদরুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। হেমাটো অনকোলজিস্ট অধ্যাপক এম এ খান বলেন, প্লাজমা দুই পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হয়। ওটাকে প্লাজমাফেরিসস করা হয় একটা মেশিনের সাহায্যে। সেটা ব্যয়বহুল। ৩০ থেকে ৪০ লাখ একটা মেশিনের দাম। নমুনা সংগ্রহ করতে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাগে। আরেকটা পদ্ধতি হলো, করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠা রোগীর রক্তের নমুনা থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা। এখানে সমস্যা হলো, একজন থেকে যে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে, তা শুধু একজনকে একবার দেওয়া যাবে। এম এ খান বলেন, বর্তমানে প্লাজমার চাহিদা কমে গেছে। মানুষের আতঙ্ক কমে গেছে। আমার মনে হয়, সেপ্টেম্বরের দিকে করোনা আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। তিনি আরও বলেন, প্লাজমা থেরাপি কোন সময়ে কাকে দিতে হবে, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আগে থেকে প্ল্যান করি, বয়স্ক রোগী যারা রয়েছেন, তাদেরকে যদি আমরা কভিড আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দিতে পারি, এটা হলো উত্তম। কারণ সুনির্দিষ্ট ভ্যাক্সিন আসার আগ পর্যন্ত এটা খুব কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি। কারণ আমরা জানি, অ্যান্টিভাইরাস যেগুলো ব্যবহার হচ্ছে এবং ইনজেকশন ফর্মে যেসব ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে, এগুলো কমপক্ষে ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকার প্রয়োজন হয়।

সর্বশেষ খবর