যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোর নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে সমাজসেবা অধিদফতরের তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রধান সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) সৈয়দ নুরুল বাসির বলেন, ঘটনার ৬/৭ ঘণ্টার পরেও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি। এদিকে, গ্রেফতার ওই কেন্দ্রের আরও তিন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকা তিন কর্মকর্তাকে গতকাল বিকালে যশোরের বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। তারা হলেন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ ও প্রশিক্ষক এ কে এম শাহানুর আলম। এর আগে দুই কর্মকর্তা সাইকো সোশ্যাল কাউন্সিলর মো. মুশফিকুর রহমান ও কারিগরি প্রশিক্ষক ওমর ফারুককে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোরের চাঁচড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রকিবুজ্জামান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে বন্দী শিশু-কিশোরদের নির্যাতন ও খুনের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। আরও অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এদিকে হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি আরও সাত দিন সময় চেয়েছে। কমিটির প্রধান যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল লাইছ বলেন, তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার ওই কেন্দ্রের পাঁচ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এ জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে, কিন্তু অনুমতি পাওয়া যায়নি। মূলত এ কারণেই তদন্তের সময় আরও সাত দিন বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর আগে এ কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নির্মম পিটুনিতে সেখানে বন্দী থাকা তিন কিশোর নিহত হয়, আহত হয় ১৫ শিশু ও কিশোর।