বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, করোনাকালে রাজনীতি ছিল ঘরোয়া। বিএনপি ঘরোয়াভাবেই সব কর্মসূচি পালন করেছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি নেতা-কর্মীরা ত্রাণ নিয়ে মানুষের পাশে ছিল। বিএনপি করোনাকালেও ‘রানিং’ ছিল।
মিজানুর রহমান মিনু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনাকালে মাঠের রাজনীতি ছিল না। তবে ঘরোয়া রাজনীতিতে তারা মানুষের কাছাকাছি ছিলেন। সরকার স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। রাজশাহীতে চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ মারা গেছে। বিএনপি এসব নিয়ে কথা বলেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে মিনু বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছি। ‘অর্বাচীন’ এই মন্ত্রী কোনো দিন রাজনীতি করেননি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করেছেন।’ বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা মানুষের কাছে যাচ্ছে। সরকার নিজেরাও কিছু করছে না, অন্য কেউ দায়িত্ব পালন করলেও তারা বাধা দিচ্ছে। এর মধ্যেও বিএনপি নেতা-কর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে সামর্থ্য অনুযায়ী দাঁড়িয়েছে। রমজান মাসেও বিএনপি নেতা-কর্মীদের ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত ছিল। করোনাকালে, বন্যায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের পাশেও দাঁড়িয়েছে বিএনপি। মিনু বলেন, করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করেছে। জনজীবনে আশঙ্কা ও ভয়ভীতি সৃষ্টি করেছে। কিন্তু ভয়কে দূরীভূত করার জন্য আগে থেকে যে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার ছিল তা সরকার গ্রহণ করেনি। বাংলাদেশে প্রস্তুতি না থাকায় লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। কর্মহীন মানুষ, দিনমজুর মানুষ না খেয়ে আছেন। বিএনপির এই নেতা বলেন, নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজশাহী ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছিল ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। শুরু থেকেই বিএনপি এই কাজটি করেছে। রাজশাহী ও আশপাশের জেলাগুলোর জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে তিনটি মেডিকেল টিম গঠন করা আছে। তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা মানুষকে দিচ্ছেন। করোনাকাল বলে কোনো কথা নয়, মানুষের প্রয়োজনে বিএনপি সবসময় পাশে থেকেছে।