গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে উভিযোগ উঠেছে। নিহতরা হলো- কালিয়াকৈর উপজেলার চান্দরা মন্ডলপাড়া এলাকার সুনাম উদ্দিনের ছেলে দুলাল হোসেন (৪০) এবং দুলালের দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশা আক্তার (২৮)। কালিয়াকৈর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী ও এলাকাবাসী জানান, প্রায় একযুগ আগে প্রথম স্ত্রী রেহেনা বেগমের মৃত্যুর পর দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়া থানার দক্ষিণ কৃষ্ণপুর এলাকার আফতাব উদ্দিনের মেয়ে আয়েশা আক্তারকে বিয়ে করেন দুই সন্তানের জনক দুলাল উদ্দিন। এটি উভয়ের দ্বিতীয় বিয়ে। দুলালের প্রথম সংসারে দুই সন্তান (একটি মেয়ে ও একটি ছেলে) ও আয়েশার প্রথম সংসারে এক কন্যা রয়েছে। পারিবারিক নানা বিষয়াদি নিয়ে কিছু দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। গতকাল ভোরে তাদের মধ্যে বাকবিত া হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী আয়েশাকে গলাটিপে হত্যা করে দুলাল। এরপর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী রেললাইনে গিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার আগ মুহূর্তে দুলাল তার মেয়েকে মোবাইল ফোনে জানায়, আমি তোর মাকে হত্যা করেছি, আমি আর বাঁচতে চাই না, আমি ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করব। উগ্র মেজাজী দুলাল সম্প্রতি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। নিহতের মেয়ে ও স্বজনরা জানান, ফোন করার কিছুক্ষণ পরই ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে দুলাল নিহত হওয়ার খবর বাড়িতে পৌঁছে।
কালিয়াকৈর থানার ওসি মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ দুলাল হোসেনের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।