শিরোনাম
শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

জাতিসংঘ থেকে ‘বাস্তব জীবনের নায়ক’ উপাধি পেলেন চার বাংলাদেশি

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘ থেকে ‘বাস্তব জীবনের নায়ক’ উপাধি পেলেন চার বাংলাদেশি

জাতিসংঘ থেকে ‘বাস্তব জীবনের নায়ক (রিয়েল লাইফ হিরো)’ উপাধি পেলেন চার বাংলাদেশি তরুণ-তরুণী। বিশ্ব মানবিক দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ চলমান পরিস্থিতিতে আর্তমানবতার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য এ উপাধি দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ সারাবিশ্বের বেশ কয়েকজনকে এ তালিকায় রেখেছিল। গত ১৯ আগস্ট এ উপাধি দেওয়া হয়। উপাধিপ্রাপ্তরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  থেকে প্রান্তিক মানুষকে সহায়তা দেওয়া শুরু করেন। এপ্রিলের শুরু থেকে টানা ১১৬ দিন কার্যক্রম চালানোর পর করোনার প্রকোপ কমলে তিনি সুনামগঞ্জে যান এবং বন্যাকবলিত মানুষকে সহায়তা দেন। বন্ধু ও শুভাকাক্সক্ষীদের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা গ্রহণ করে এসব কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন সৈকত। পাশাপাশি শিশুশ্রমে নিয়োজিত আঁখিকে সহায়তা দেয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন’। বয়সের কারণে স্কুলে ফেরানো না গেলেও তাকে দর্জি কাজের প্রশিক্ষণ দেয় সংস্থাটি। পরে তাকে একটি সেলাই  মেশিন আর কিছু কাপড় দেয় সংস্থাটি। সেখান থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতে থাকেন নিজেই গার্মেন্ট কারখানা গড়ে তোলার। বর্তমানে আঁখি তার মা এবং বড়  বোনের সহায়তায় নিজের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে থাকলে দেখা দেয় মাস্ক সংকট। আর তখনই মাস্ক তৈরি শুরু করেন তিনি। কম দামে আশপাশের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে এসব মাস্ক বিক্রি করেন তিনি। জাতিসংঘের স্বীকৃতি পাওয়া আরেক বাংলাদেশি রিজভী হাসানের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। স্থাপত্যবিদ্যার পাঠ চুকিয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ব্র্যাক’-এ কাজ শুরু করেন তিনি। তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরের জন্য সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের কাজ পান। তখনই তিনি দেখতে পান বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য স্বল্প খরচে আবাসনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ অবস্থায় তিনি লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতায় আক্রান্ত নারীদের সেবা প্রদানের জন্য স্বল্প খরচে নিরাপদ স্থান গড়ে তোলা শুরু করেন। এসব স্থানে রোহিঙ্গা শিবিরের নারীদের কাউন্সেলিংসহ নানা দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ব্যতিক্রমী এসব স্থাপনার মাধ্যমে বহু নারীকে নিরাপদে সেবা ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ব্র্যাক ও ইউনিসেফ। অনুবাদের কাজ করে বাস্তব জীবনের নায়ক হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেয়েছেন আরেক বাংলাদেশি তরুণ সিফাত নূর। জাতিসংঘ মনে করে, যে কোনো সংকটের সময়ে খাবার, পানি ও আশ্রয়ের মতোই মানুষের দরকার পড়ে তথ্য ও যোগাযোগের। এসব তথ্য ও যোগাযোগ হতে হয় তাদের নিজস্ব ভাষায়। আর এখানেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে একজন অনুবাদকের কাজ। জাতিসংঘ বলছে, সিফাত মানবিকতার নায়ক। কারণ, তিনি জটিল ও জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাংলায় অনুবাদ করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর