শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি

দিনাজপুরে পাটের বাম্পার ফলন

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে পাটের বাম্পার ফলন

চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলন হলেও করোনার কারণে প্রথমদিকে বাজারে দাম ভালো না পাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও বর্তমানে বাজারে চাহিদা ও দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভবান দিনাজপুরের কৃষক।

মৌসুমের শুরুতে আগাম বর্ষায় নষ্ট হয়েছে অনেক জমির পাট। আবার উৎপাদন খরচের সঙ্গে বাজারমূল্যের অসমতা এবং সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ থাকায় উৎপাদিত পাটের সঠিক মূল্য পাবেন কি-না, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ছিলেন পাট চাষিরা। তবে বর্তমানে বাজারে পাটের দাম কিছুটা বাড়ায় খুশি কৃষক। জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭৮ হেক্টর জমিতে বেশি পাট চাষ হয়েছে। তবে অতিবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাটের কিছুটা ক্ষতি হলেও উৎপাদিত পাটের বর্তমানে বাজারমূল্য বাড়ায় লাভবান হবে কৃষক- এমনটাই মনে করছে কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৩ হাজার ৯৩৬ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৭৫৮ হেক্টর জমি। বিভিন্ন উপজেলায় তোষাসহ কয়েক জাতের পাট চাষ হয়েছে। চিরিরবন্দর, খানসামা, কাহারোলে বেশি পাট চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো হওয়ায় এবং পাটের রোগবালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামে দেখা যায়, শ্রাবণের ঝরা বৃষ্টির পানিতে এসব পাট পচিয়ে আগেভাগে অনেকে ঘরে তুলেছে। তবে এখনো পাট কেটে জাগ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন হাজারো কৃষক। গত দুই বছর আগেও সোনালি আঁশের ফলন ও দাম দুটোই ছিল কাক্সিক্ষত। এবার বর্ষায় নদী-নালা খাল-বিলে প্রচুর পানি থাকায় পাট জাগ দিতে কোনো সমস্যা হয়নি। ফলন ভালো হওয়ায় প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১৪ মণ পাট পাওয়া গেছে। গত বছর প্রতি মণ পাট বিক্রি হয়েছিল ১৮৫০-১৯০০ টাকায়। এ বছর সেই পাট প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ২১৫০-২২৫০ টাকায়। ঈশানপুর গ্রামের পাট চাষি রবীন্দ্রনাথ বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে ১৫ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। তাতে পাট উৎপাদন হয়েছে ১০ মণ। তবে বর্তমানে বাজারে দাম ভালো। প্রতি মণ পাট ২১০০ থেকে ২২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খানসামা উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আফজাল হোসেন বলেন, খানসামায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। উপজেলায় পাট চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ১৫০ হেক্টর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর