ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক ও সাবেক সভাপতি মো. রকিবুর রহমান বলেছেন, শেয়ারবাজার থেকে অনেকে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। কোম্পানির কোনো সক্ষমতা বিবেচনা না করে আইপিও অনুমোদন দিয়ে পরিচালকদের লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি করেছে। সম্প্রতি এসব কোম্পানির পরিচালকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে এসব পদক্ষেপ অব্যাহত রাখতে হবে।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে রকিবুর রহমান বলেন, সম্প্রতি বেশকিছু কারণে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরেছে। লেনদেন ও সূচক বাড়ছে। তবে এই সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ বিবেচনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে মৌলিক পদক্ষেপ দিয়ে। ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) গঠন করা হয়েছিল বাজারকে সহযোগিতা দিতে। ব্যবসা করতে নয়। কিন্তু আমরা দেখছি গত ১৫/২০ দিনে তারা ২৬ শতাংশ শেয়ার কিনেছে। বিক্রি করেছে ৭৪ শতাংশ। এভাবে ব্যবসায়ী মনোভাব দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তিনি বলেন, শেয়ারবাজার থেকে অনেক প্রতিষ্ঠান টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। তারা টাকা উত্তোলন করে কোম্পানি চালায়নি। শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। পরিচালকদের ২ শতাংশ ও সম্মিলিত ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের আইন করা হলেও তা বাধ্য করা হয়নি। এমন অনিয়মের বিরুদ্ধে চলমান পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা দরকার। তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ৬ মাসের মধ্যে সাধারণ সভা করে প্যানেল থেকে স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ দিতে হবে। বাজার এখন বিনিয়োগ করার উপযুক্ত সময়। মানুষের আস্থা ফিরেছে। এই আস্থা ধরে রাখতে হলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত রাখতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রভাবে বাজার চলতে পারে না। ডিএসই ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যায়। এটা যারা করেছেন তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বাজার কারসাজি করতে এমন কাজ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে শেয়ারবাজার পরিচালনা করতে হবে। বাজারের বর্তমান আস্থার যেন ছন্দপতন না হয়, সে জন্য কঠোর নজরদারির মধ্যে রেখে মৌল ভিত্তির কোম্পানি আনা দরকার। বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ডের সম্পদের মূল্যায়ন সঠিক এবং পেশাদার মনোভাব নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান দিয়েই করতে হবে।