সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে

-প্রকৌশলী এম এ আউয়াল

ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুবিধা প্রদান করায় ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে বলে মনে করেন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী এম এ আউয়াল। তিনি বলেছেন, ‘অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগ আমাদের জন্য ইতিবাচক। বিষয়টি ক্রেতাদেরও আস্থায় নিতে হবে। এর সঙ্গে আবাসন খাতে ক্রেতাদের ঋণ প্রদানে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।’ বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রকৌশলী এম এ আউয়াল। তিনি বলেন, ‘মহামারী করোনাভাইরাসের চলমান প্রাদুর্ভাবের মধ্যে আবাসন প্রকল্পগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার কারণে আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি। নির্মাণশ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও মালিকদের গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হচ্ছে।’ দেশের অন্যতম আবাসন উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান দি স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের (সেল) এই কর্ণধার বলেন, ক্রেতাদের জন্য ব্যাংক ঋণ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। দু-একটা ব্যাংক ঋণ প্রদানে সাড়া দিলেও অধিকাংশ ব্যাংক ক্রেতাদের ঋণ দিচ্ছে না। ক্রেতাদের ঋণসুবিধা বা ঋণ পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজারে লেনদেন বাড়ছে। এটা আশার দিক। আবার রেমিট্যান্সও বাড়ছে। শুনছি যুক্তরাষ্ট্র থেকেও বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স আসছে। সবকিছু মিলিয়ে আগামী ডিসেম্বরে বুঝতে পারব পরিস্থিতি কোন দিকে দাঁড়ায়। তখন হয়তো আবাসন খাত নতুন মাত্রা পেতে পারে।’ রিহ্যাবের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে আবাসনশিল্প আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে আরও নীতিসহায়তা প্রয়োজন। এ খাতে প্রায় ৩৫ লাখ নির্মাণশ্রমিক রয়েছেন। আবাসন ও কনস্ট্রাকশন শিল্পের সঙ্গে রড, সিমেন্ট, সিরামিক, রংসহ অনেক শিল্প খাত জড়িত। আসলে আমরা এখনো জানি না কীভাবে করোনাভাইরাসের এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটবে। আমরা আবাসনশিল্পের উদ্যোক্তারা চাপের মধ্যে আছি। এই চাপ মোকাবিলায় সরকারকে আরও কিছু নীতিসহায়তা দিতে হবে।’

সর্বশেষ খবর