মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ভাঙ্গায় মাছ ধরা নিয়ে বিরোধে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ভাঙ্গায় মাছ ধরা নিয়ে বিরোধে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের হাবিলি গঙ্গাধরদী গ্রামে এই নৃশংস ঘটনায় নিহতরা হলেন গিয়াস উদ্দিন মাতুব্বর ওরফে গিয়াস মাতুব্বরের দুই ছেলে শামীম মাতুব্বর (২৭) ও রাকিব মাতুব্বর (১৫)। নিহত রাকিব মাতুব্বর পার্শ¦বর্তী গঙ্গাধরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় গিয়াস উদ্দিন মাতুব্বরের বড় ছেলে আলী নুর মাতুব্বর (৩৫) ও নাতি ইমন মাতুব্বর (১৩) আহত হয়েছেন। তারা ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলীমুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হাবিলি গঙ্গাধরদী গ্রামের ছদ্দাক মাতুব্বরের সঙ্গে গিয়াস উদ্দিন মাতুব্বরের আগে থেকেই বিরোধ ছিল। রবিবার বিকালে গ্রামের বিলে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যায় গিয়াস উদ্দিন মাতুব্বরের ছোট ছেলে স্কুলছাত্র রাকিব মাতুব্বর। এ সময় তাকে বাধা দেয় প্রতিবেশী ছদ্দাক মাতুব্বরের ছেলে জামাল মাতুব্বর ও আবজাল মাতুব্বর। এ নিয়ে দুই পক্ষে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে গতকাল ছদ্দাক মাতুব্বর ও তার ছেলেরা প্রতিবেশী গিয়াস উদ্দিন মাতুব্বরের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালায়। রামদা, সড়কি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গিয়াস উদ্দিন মাতুব্বরের পরিবারের চারজনকে জখম করে। গুরুতর আহত শামীম মাতুব্বর ও রাকিব মাতুব্বরকে ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, নিহতদের মাথায় একাধিক কোপের আঘাত রয়েছে। 

নিহত দুজনের পিতা গিয়াস উদ্দিন মাতুব্বর কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, চোখের সামনে তরতাজা দুই ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছদ্দাক মাতুব্বর ও তার ছেলেরা। ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ছদ্দাক মাতুব্বর ও তার দুই ছেলে সালাম মাতুব্বর এবং জামাল মাতুব্বরকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলীমুজ্জামান বলেন, এ দুই পক্ষের মধ্যে স্থানীয় দলাদলি ছিল। তবে মাছ ধরা নিয়েই ঘটনাটি ঘটেছে। হত্যায় জড়িতরা কেউ ছাড় পাবে না।

সর্বশেষ খবর