মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি

মরিচ চাষিদের মুখে তৃপ্তির হাসি

নওগাঁ প্রতিনিধি

মরিচ চাষিদের মুখে তৃপ্তির হাসি

‘সময়মতো পানি দাও, সার দাও আরও কত ঝামেলা, তাই এক বিঘা জমিতে ধান আবাদ না করে মরিচ চাষ করছি। এতে ঝামেলা কম, লাভও বেশি।’ কথাগুলো বলছিলেন নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের কৃষক বিকাশ। শুধু বিকাশই নন, গত কয়েক মৌসুম থেকে কৃষকরা মরিচ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। উপজেলার সফাপুর, উত্তরগ্রাম, মহাদেবপুর সদর ও খাজুর ইউনিয়নের মাঠে এ বছর ব্যাপক হারে স্থানীয় বর্ষালী জাতের মরিচ চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে। জানা যায়, বর্ষা হলে মরিচ ভালো হয়। এবার মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে বাজার দর কিছুটা কম থাকলেও এখন প্রতি মণ কাঁচা মরিচ ছয় হাজার থেকে সাত হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে মরিচ চাষে লাভ তুলনামূলক বেশি। সে কারণে কৃষকদের আগ্রহও বেশি। সবুজে ছেয়ে আছে মরিচের খেতগুলো। সেসব খেত থেকে দল বেঁধে মরিচ উঠাচ্ছেন নারী শ্রমিকরা। খেত থেকে প্রায় পাঁচ মাস পর্যন্ত মরিচ উঠানো যায়। তবে সবকিছুই নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। সফাপুর গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল বলেন, প্রতি বিঘা জমি থেকে ১০-১৫ দিন পর পর প্রায় ১০-১২ মণ হারে মরিচ উঠানো যায়। বর্তমানে মরিচের ফলন ও দাম দুটোই ভালো পাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুন চন্দ্র রায় বলেন, রোগবালাই যেন মরিচের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছেন। মরিচের ফলন ও দাম দুটোই ভালো পাচ্ছেন কৃষক।

সর্বশেষ খবর