বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

রাজনৈতিক ঐক্য হয়নি করোনাকালেও

-শিব্বির আহমেদ লিটন

রাজনৈতিক ঐক্য হয়নি করোনাকালেও

গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে উল্লেখ করে ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক শিব্বির আহমেদ লিটন বলেছেন, করোনার মহামারী বদলে দিয়েছে পার্থিব জগতের মনুষ্য সৃষ্ট অনেক নিয়ম-কানুন। এমনকি সামাজিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ সব ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলেছে এই করোনা ভাইরাস। কিন্তু আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে প্রভাব ফেলতে পারেনি অদৃশ্য এই বিষাক্ত অণুজীবটি। করোনাকালেও রাজনীতিতে ঐক্য হয়নি। বরং বেড়েছে বড় দুই দলের দূরত্ব। করোনার আগে মাঠে-ময়দানে শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যে কাদা ছোড়াছুড়ি থাকলেও এখন তা রূপ নিয়েছে ভার্চুয়ালে। কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের সেই কাদা ছোড়াছুড়ির প্রভাব পড়েছে জেলা পর্যায় থেকে তৃণমূলে-এমনটিই মনে করেন এই নাগরিক নেতা। বলেন, মাঠপর্যায়ে রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও অনেকের ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই চমৎকার। কিন্তু শীর্ষ নেতাদের দোষারোপের রাজনীতির কারণে তৃণমূলেও সুযোগ থাকে না দুর্যোগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অনেক অনুন্নত দেশের সরকারি দল ও বিরোধী দলও করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এক মঞ্চে বসেছেন। এমন রাজনৈতিক ঐক্যের উদাহরণ করোনকালে অসংখ্য। এমনকি পাশের দেশ ভারতেও রাজনৈতিক দলগুলো অন্যান্য সময় একে অপরের সমালোচনায় মুখর থাকলেও করোনা ইস্যুতে তারা ঐক্যবদ্ধ। শিব্বির আহমেদ লিটন বলেন, করোনাকালে এমন ঐক্যের সম্ভাবনা আমাদের দেশেও উঁকি দিয়েছিল। অনেক রাজনৈতিক বোদ্ধাও ভেবেছিলেন হয়তো করোনাভাইরাস সব দলকে একসূত্রে গাঁথবে। কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গনে সেই দূরত্ব এখনো ঘুচেনি। বরং ভার্চুয়ালি প্রতিদিনই বড় দুই দলের বাকবিতন্ডা, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ শুনছে ও দেখছে দেশের সাধারণ মানুষ। তবে করোনাকাল রাজনৈতিক নেতাদেরকে অনেকটাই মানবিক করে তুলেছেন বলে মনে করেন সুশীল সমাজের এই প্রতিনিধি। বলেন, এই অতিমারীতে সরকারি এবং বিরোধী দলের অনেক নেতার মানবিকতা প্রকাশ পেয়েছে।

পক্ষান্তরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের খামখেয়ালিপনাসহ কিছু ব্যর্থতাও রয়েছে। তবে রাজনৈতিক ঐক্যে আওয়ামী লীগকেই প্রধান ভূমিকায় নামা উচিত। এর কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাই দলটির প্রতি মানুষের প্রত্যাশাও অনেক।

সর্বশেষ খবর