শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

আক্রান্ত ছাড়াল ২ কোটি ৪২ লাখ, সিউলে ফের বন্ধ হলো স্কুল

প্রতিদিন ডেস্ক

মহামারী করোনার প্রথম ধাক্কা সামলালেও ফের দক্ষিণ কোরিয়ায় দ্বিতীয় ধাক্কা শুরু হয়েছে। ফলে রাজধানী সিউলে দুই মাসের মাথায় আবারও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব স্কুল। এদিকে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৪২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা হয়েছে অন্তত ৮ লাখ ২৫ হাজার। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। আমেরিকার দুই মহাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণ এখনো দ্রুত বাড়ছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ৬০ লাখ। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৪২১ জনের। আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ৩৭ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত সাড়ে ৩২ লাখ। এর মধ্যে ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দক্ষিণ কোরিয়ায় : করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের সবচেয়ে সফল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ভাবা হয় দক্ষিণ কোরিয়াকে। মহামারীর প্রথম ধাক্কা সফলতার সঙ্গে সামলালেও গত কয়েক দিনে দেশটিতে বিশেষ করে এর রাজধানী সিউলে ফের বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। এ কারণে শহরটিতে মাত্র দুই মাসের মাথায় আবারও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব স্কুল। সূত্র : বিবিসি। গত দুই সপ্তাহে বৃহত্তর সিউলে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী ও কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় গোটা দেশই আবার ব্যাপক সংক্রমণের হুমকিতে পড়েছে বলে সতর্ক করেছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিউলের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠদান চলবে।

তবে হাইস্কুলের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের আগামী ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা থাকায় তারা এ নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে। উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ কমে আসায় গত ২ মে থেকে ১ জুনের মধ্যে ফের চালু হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার বেশির ভাগ স্কুল।

টানা ১৮ দিন সর্বোচ্চ সংক্রমণ ভারতে : মঙ্গলবার টানা ১৮ দিনের মতো বিশ্বের মধ্যে করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ভারতে। শীর্ষ আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল এ ক্ষেত্রে পেছনে পড়েছে ভারতের। জানুয়ারির শেষদিকে প্রথম কভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পর মার্চের শেষদিকে কঠোর লকডাউন জারি সত্ত্বেও জুলাইয়ের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা ছাড়ায় ১৬ লাখ। আর আগস্টের শুরু থেকে নতুন করে ১৫ লাখসহ মোট ৩১ লাখ সংক্রমণ নিয়ে শীর্ষ আক্রান্তে ভারতের অবস্থান এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর। ভারতে সংক্রমণ বাড়ছে দ্রুত। টানা দশ দিন ধরে দৈনিক শনাক্ত রোগী ছিল গড়ে ৬০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে কোনো কোনো দিন ছিল প্রায় ৭০ হাজার। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানায়, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রায় ৬১ হাজার মানুষের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ভারতের জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা অলাভজনক সংগঠন পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার মহামারী বিশেষজ্ঞ গিরিধর বাবু এ প্রসঙ্গে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আক্রান্তের দিক দিয়ে আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে যাই তাতেও আমি অবাক হব না।’

সর্বশেষ খবর