শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

পাখির আশ্রয় রামনগর

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

পাখির আশ্রয় রামনগর

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার রামনগরে শামুকখোল পাখির কলকাকলিতে অন্যরকম বিনোদন পান এলাকাবাসী। মাঝে মাঝে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাখিপ্রেমীরা তা দেখতে আসেন। পাখিগুলো আকারে বেশ বড়। বকের মতো গলা ও পা লম্বা। তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে এগুলো সাদার পাশাপাশি কালো রঙের হয়ে থাকে।

জানা গেছে, বগুড়ার শেরপুর উপজেলা করতোয়া নদীসহ বেশকিছু বিল রয়েছে। এসব বিলে সারা বছর পানি থাকে। এলাকার ৪০ থেকে ৫০টি গাছে বাসা বেঁধেছে। গ্রীষ্মকালে পাখিগুলো বিভিন্ন গাছে আশ্রয় নিয়ে থাকে। এই ছয় মাস পাখিগুলো ডিম দেয়। বাচ্চা ফুটিয়ে আবারও শীত আসার আগেই চলে যায়। কোনো কোনো পাখি আবার থেকেও যায় বলে এলাকাবাসী জানায়। নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে হাজার হাজার পাখির আগমন ঘটে ওই গ্রামে। সকালে পাখির কলকাকলিতে ঘুম ভাঙে তাদের। রোদ উঠলে পাখিগুলো যমুনা নদীর তীর কিংবা বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। খাবার সংগ্রহ শেষে আবার ফিরে আসে। স্থানীয়রা জানান, কাউকে পাখি শিকার করতে দেওয়া হয় না। তাই পাখিগুলো এটিকে নিরাপদ স্থান মনে করে। এজন্য প্রতি বছরই পাখির সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে দর্শনার্থী। সকালে পাখি খাবার সংগ্রহে চলে যায়। খাবার সংগ্রহ আবার ফিরে আসে। গ্রীষ্মকালের ৬ মাস পাখিগুলো বাচ্চা ফুটানোর পর শীত এলে চলে যায় অজানায়। কোথা থেকে এত পাখি আসে আর কোথায় চলে যায়, তা কেউ বলতে পারেন না। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে এই পাখির আসা-যাওয়া।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর