শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

জামিনে বেরিয়ে এসে বাদীর হাতের কব্জি কেটে নিল আসামি

কক্সবাজার প্রতিনিধি

অপহরণ মামলার আসামি আলমগীর জামিনে জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসার কয়েক দিন পরই বাদী আলী হোসেন মুন্সির হাতের কব্জি কেটে নিয়েছেন। গতকাল সকালে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মইয়াদিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। মুন্সিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়। কক্সবাজার কারাগার থেকে সম্প্রতি জামিনে বের হওয়া আলমগীর মামলার বাদী তার আপন চাচা মুন্সিকে হত্যার ছক কষেন। আলী হোসেন মুন্সি সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পেকুয়া বাজারে যেতে (মিনি টমটম) গাড়িতে ওঠেন। আনছার নামের আরও একজন যাত্রীও ছিলেন গাড়িতে। ওতপেতে থাকা আলমগীর ওই গাড়ির গতিরোধ করে কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। আক্রান্ত মুন্সি রাস্তার পাশের ধানি জমিতে ছিটকে পড়েন। আলমগীর সেখানে গিয়েও কোপাতে কোপাতে মুন্সির ডান হাতের কব্জি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে বুক চিতিয়ে চলে যায়। তাকে উদ্ধার করতে আসা কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকেও কুপিয়ে জখম করে আলমগীর। জানা গেছে, আলী হোসেন মুন্সীর মেয়ে কলেজছাত্রী জান্নাতুল নাঈমা মুন্নী গত ১২ জুন অপহরণের শিকার হন। মুন্সি পেকুয়া থানায় অপহরণ মামলা (০৫/২০) করেন। আলমগীর ওই মামলার আসামি। দেড় মাস আগে আলমগীরকে জনতা আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করে। আলমগীরের শ্যালক হুমায়ন কবিরের সফঙ্গ প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুন্নীর। তারা স্বেচ্ছায় পালিয়ে যায়। আলী হোসেন মুন্সির পরিবারের অভিযোগ, তিন মাস আগে মেয়ে অপহরণ হলেও এখনো তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অপহরণকারী দলের হোতা এখনো অধরা রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পাম্প মেশিন বসিয়ে পানি সরিয়ে ধানি জমির পুকুর থেকে কাটা হাত উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় একটি ঘড়ি ও একটি সোনার আংটিও উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আলমগীর বখাটে ও ইয়াবাখোর। এলাকায় চুরি-চামারির সঙ্গে জড়িত। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ১০-১২ জনের একটি ইয়াবাখোর সিন্ডিকেট রয়েছে তার। আলমগীর খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ীও। পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানান, সেখানে এখনো পুলিশ অবস্থান করছে।

সর্বশেষ খবর