মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

এ উন্নতি ছিল প্রত্যাশার বাইরে

-ফজলুল হক

এ উন্নতি ছিল প্রত্যাশার বাইরে

দেশের প্রধান রপ্তানিমুখী খাত তৈরি পোশাকশিল্পে অবিশ্বাস্য উন্নতি হয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সাবেক সভাপতি ফজলুল হক। বিশ্বের শীর্ষ সবুজ পোশাক কারখানার এই কর্ণধার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সরকার প্রণোদনা না দিলে এভাবে পোশাকশিল্পে ঘুরে দাঁড়াত না। এখন ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখতে হবে। করোনায় বাংলাদেশ লাভবান হবে বলেও মনে করেন নিট পোশাকশিল্প মালিকদের এই নেতা। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্লামি ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হক।

বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মহামারী করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে গেল এপ্রিলের তুলনায় আগস্টে অবিশ্বাস্য উন্নতি হয়েছে। যদিও আগস্ট মাসে ঈদসহ বেশ কিছুদিন ছুটির কারণে কর্মদিবস কম ছিল। তিনি বলেন, ‘পোশাকশিল্পের সামনের দিনে আপাতদৃষ্টিতে কিছু চ্যালেঞ্জ দেখছি। করোনা মহামারী মোকাবিলা করে ইউরোপের দেশগুলো যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। ফলে জুলাই ও আগস্ট মাসের এই ইতিবাচক পরিস্থিতি পরবর্তী সময়ে অব্যাহত থাকবে কি না তা দেখার বিষয়। সামনে করোনার আরেকটা ধাক্কা আসবে কি না তাও বলা যাচ্ছে না। তবে আগস্ট মাসের এই উন্নতি পরিস্থিতি আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকলেই পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প। পোশাকশিল্প মালিকদের এই নেতা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে এ পর্যন্ত সরকার প্রণোদনা না দিলে এভাবে ঘুরে দাঁড়াত না পোশাক খাত। মূলত প্রণোদনার ফসল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী জানুয়ারিতে পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। তার মতে, ‘যেখানে এপ্রিলে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প মালিকরা অন্ধকারে ছিলাম, সেখানে আগস্টের এই ইতিবাচক পরিস্থিতি আমাদের প্রত্যাশার বাইরে।’ বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক পোশাকশিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখতে হবে। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের পোশাকশিল্প লাভবান হবে। যদিও চীনের ব্যবসা ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় বেশি যাবে। এই দুটো দেশের অবকাঠামো অনেক ভালো।’ তবে বাংলাদেশও এ সুবিধা পাবে বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

সর্বশেষ খবর