মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

শখের ক্যাকটাস বাগান

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

শখের ক্যাকটাস বাগান

তিন বন্ধুর একজন পুলিশ সার্জেন্ট, একজন বিপণন কর্মকর্তা আর অন্যজন নার্সারির মালিক। ছোট থেকেই তাদের ছিল গাছের প্রতি ভালোবাসা। যা পরবর্তীতে রূপ নেয় ক্যাকটাস সংগ্রহে। শখের বশে শুরু করা ছাদ বাগানে এখন তাদের সংগ্রহে দাঁড়িয়েছে সাড়ে তিনশ প্রজাতির ক্যাকটাস।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্জেন্ট তৌহিদুল ইসলাম। অফিসের কাজ শেষে ছুটে আসেন তার প্রিয় ক্যাকটাসের ছাদ বাগানে। ছোট বেলা থেকেই ছিল গাছের প্রতি ভালোবাসা, সেই ভালোবাসা থেকেই শুরু হয় ক্যাকটাস সংগ্রহ। তবে ভাড়া বাসার ছাদে ক্যাকটাস চাষের অনুমতি না পাওয়ায় বিপাকে পড়েন তিনি। এমন অবস্থায় পরিচয় হয় ক্যাকটাস সংগ্রাহক বিপণন কর্মকর্তা বিভূতি ভূষণ ও নার্সারির মালিক ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে। পরে তিনজনে একটি ছাদ ভাড়া নিয়ে গড়েন শখের ক্যাকটাস বাগান। তৌহিদুল ইসলাম জানান, ছোটবেলা থেকেই গাছের প্রতি ভালোবাসা ছিল। সেই থেকে সংগ্রহ করতেন বিভিন্ন গাছ। নতুন প্রজাতির ক্যাকটাস উদ্ভাবন ও রক্ষণাবেক্ষণে ডিউটি শেষে বাগানে ছুটে আসেন তৌহিদুল। এ মরু উদ্ভিদ টিকিয়ে রাখতে পলিথিনের সেড নির্মাণ, গাছের কাঁটা পর্যবেক্ষণ ও মাটি পরিবর্তনসহ বিভিন্ন যত্ন নেন তারা তিনজন। তৌহিদুল বলেন, অফিস শেষ করে বাসায় এসে ছাদে যাই। ছাদ থেকে ঘরে যেতে রাত ১টা বেজে যায়। তারপরেও শখের বসে চলছে তাদের এই ক্যাকটাস বাগান। ক্যাকটাস বাগানের আরেক উদ্যোক্তা বিভূতি ভূষণ সরকার জানান, বীজ উৎপাদন, সেখান থেকে নতুন প্রজাতির ক্যাকটাস উদ্ভাবন, সেই সঙ্গে ক্যাকটাসের জন্য পলিথিনের শেড নির্মাণ, গাছের কাঁটা পর্যবেক্ষণ, মাটি পরিবর্তন-সবই করেন তারা নিজেরাই। তবে প্রথমদিকে এই মরু উদ্ভিদকে বসে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। পরবর্তীতে ভারতীয় এক সংগ্রাহকের পরামর্শে আসে সফলতা। নার্সারি মালিক ইসমাইল হোসেন জানান, আগামীতে ক্যাকটাসের এই সংগ্রহশালাটি ২ হাজার প্রজাতিতে উন্নীত করার কথা ভাবছেন তারা। সেই সঙ্গে এটিকে বাণিজ্যিকভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও আছে তাদের। তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে তারা একটি ক্যাকটাস পার্ক গড়ে তুলতে চান। যেখানে দেশ-বিদেশের মানুষ এসে ক্যাকটাসের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর