দ্বৈত ভোটার হয়ে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন। যিনি জেকেজি হেলথ কেয়ারের জালিয়াতির মামলায় এখন আছেন কারাগারে।

গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া বাদী হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় সাবরিনার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল মমিন মিয়া বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বৈত ভোটার হয়ে এবং একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আইন অনুযায়ী অপরাধ করেছেন সাবরিনা। তার দুটি এনআইডির তথ্য তুলে ধরে বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে মামলায়। ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের বিধান আছে। আর ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও একই শাস্তি হতে পারে। মামলার এজাহারে ইসি বলেছে, ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি ভোটার হওয়ার জন্য আগারগাঁওয়ে এনআইডি উইংয়ের প্রকল্প অফিসে আবেদন করে আঙ্গুলের ছাপ ও বায়োমেট্রিক তথ্য দেন সাবরিনা। নিয়ম অনুযায়ী তার তথ্য যাচাইয়ের জন্য গুলশান নির্বাচন অফিসকে জানানো হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সে বছর ২৭ এপ্রিল সাবরিনা গুলশান নির্বাচন কার্যালয়ে উপস্থিত হন। দলিল যাচাই-বাছাই করে তদন্ত প্রতিবেদনে তৎকালীন নির্বাচন অফিসার তাকে ‘ভোটার করা যেতে পারে’ বলে সুপারিশ করেন। এর ভিত্তিতে সেবার ভোটার হন সাবরিনা। সরকারি নথিপত্রে নাম সাবরিনা শারমিন হুসাইন থাকলেও এই চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ নামে নানা কর্মসূচিতে অংশ নিতেন। আবার কর্মস্থলে তার কক্ষে নামফলকেও লেখা ছিল ডা. সাবরিনা আরিফ। তবে তার নামে যে দুটো এনআইডি পাওয়ার কথা নির্বাচন কমিশন বলছে, সেখানে আবার নামের বানান অন্যরকম।