বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সুবিধা দিয়ে খেলাপি ঋণ কমানো যাবে না

-খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ

সুবিধা দিয়ে খেলাপি ঋণ কমানো যাবে না

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন, সুবিধা দিয়ে খেলাপি ঋণ কমানো যাবে না। যারা ঋণখেলাপি হয় তা তাদের ইচ্ছাকৃত। যত সুবিধা দেওয়া হবে, তারা মনে করবে আরও সুবিধা পাওয়া যাবে। খেলাপি কমানোর জন্য কঠোরভাবে ঋণ আদায় করা হবে একমাত্র পদক্ষেপ। পুনঃ তফসিল ও হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে ঋণ ফেরত দিচ্ছে না। দ্রুত বিচারের মাধ্যমে এদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। কোর্টে এক্সক্লুসিভ বেঞ্চ গঠন করা উচিত ঋণখেলাপিদের শাস্তি দিতে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এক সাক্ষাৎকারে ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ‘যারা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে সুবিধা নিয়েছে তারাও আবার খেলাপি হয়ে পড়েছে। এর কারণ, তারা মনে করছে আরও সুবিধা পাওয়া যাবে। এভাবে অসৎ ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেওয়া যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। জোর করে ঋণ আদায় করতে হবে। প্রতি বছর ঋণখেলাপি ব্যক্তির পাশাপাশি টাকার পরিমাণও বাড়ছে। এজন্য আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার জন্য দায়ী। যারা ব্যাংক চালান তাদের দায় আছে। সরকারি ব্যাংক শুধু নয়, বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালকরাও দায়ী। বাংলাদেশ ব্যাংককে সবগুলো ব্যাংকের ওপর জবাবদিহি বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলো খেলাপি আদায়ের ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সে সম্পর্কে কঠোর মনিটরিং করতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মালিক সরকার। এ জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের উচিত ব্যাংকের বোর্ডের কাছে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া। আর এ বিষয়টি স্পষ্ট করে বলে দেওয়া যে প্রতি মাসে বা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খেলাপি ঋণের নির্ধারিত অঙ্ক আদায় করতে না পারলে বোর্ড ভেঙে দেওয়া হবে। ইব্রাহিম খালেদ বলেন, বিচার বিলম্বে ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সব খেলাপিকে ধরতে হবে। কোনো ধরনের গড়িমসি হলে এই খেলাপি ঋণের অপসংস্কৃতি থেকে বের হওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে পরামর্শ, ব্যাংকিং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে সবাইকে ত্বরিত একটা পদক্ষেপ নিতে হবে। কঠোরভাবে খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাংকার, পরিচালকদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’

সর্বশেষ খবর