বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভিয়েতনাম ও কাতারফেরত ৮৩ বাংলাদেশি কারাগারে

-প্রবাস জীবনে অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে দুই দেশ থেকে ফেরত পাঠানো ৮৩ প্রবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিদেশ থেকে ফেরার পর এরা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার পর গতকাল তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতারের পর তুরাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, তাদের বিরুদ্ধে প্রবাসী জীবনে অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে ৮১ জন ভিয়েতনাম এবং দুজন কাতার থেকে এসেছেন।

ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, নানা অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে তারা সেখানে জেল খেটেছেন। পরে তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে তাদের সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে জানা যায়নি। তাই সন্দেহজনক হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তুরাগ থানার ওসি নুরুল মক্তাকিন জানান, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে বিদেশফেরত ৮৩ বাংলাদেশিকে  গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ওই দুই দেশে অবস্থানকালে অপরাধ করেছেন। ভিয়েতনাম থেকে তাদের অপরাধের বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশকে জানায়। সে কারণে ৮১ জনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে (৫৪ ধারায়) গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

গত ১৮ আগস্ট ভিয়েতনাম থেকে ১০৬ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। করোনার জন্য তাদের উত্তরা দিয়াবাড়ী ক্যাম্পে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। গত ৩১ আগস্ট কোয়ারেন্টাইন শেষ হয় তাদের। ভিয়েতনামের অভিযোগের ভিত্তিতে ১০৬ জনের মধ্যে অভিযুক্ত ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গেছে, ১৮ আগস্ট দেশে ফেরার  আগে এসব শ্রমিক ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বাংলাদেশি দূতাবাসের সামনে অবস্থান নেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভিয়েতনাম সরকার তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে ফেরত আসা ২৫৫ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। এসব শ্রমিকের মুক্তি দাবি করে বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্রেন্টস (বিসিএসএম) এক বিবৃতিতে জানায়, এই অভিবাসীদের অধিকাংশই ‘অনিবন্ধিত হয়ে পড়া’ এবং মদ্যপানসহ গুরুতর নয় এমন অভিযোগে দন্ডপ্রাপ্ত। যাদের বেশির ভাগই অর্ধেক বা তার বেশি সাজা ভোগ করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমায় মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন। এদের কেউ কেউ সংশ্লিষ্ট দেশে ‘টেলিকম নীতি’ লঙ্ঘনের জন্য শাস্তি ভোগ করেছেন। কেবলমাত্র টক টাইম বিক্রির অপরাধে দন্ডিত হয়েছিলেন কয়েকজন। বন্দীদের কাউকেই প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে বহির্বিশ্বে ‘বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায়’ এবং ভবিষ্যতে তারা খুন, ডাকাতি, সন্ত্রাসবাদ ও নাশকতা কার্যক্রম সংঘটন করতে পারে এমন সন্দেহে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর