বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

দুই হাত বিচ্ছিন্ন করে কিশোরের লাশ পুঁতে রাখা হয় পদ্মার চরে

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে কারও কল পেয়ে সুজন বাড়ি থেকে  বের হয়। এরপর থেকে তার খোঁজ ছিল না। সোমবার লাশ উদ্ধারের পর পরিবার শনাক্ত করে এটি সুজনের লাশ। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার কাওয়ালজানি এলাকার পদ্মার চরে পুঁতে রাখা এক কিশোরের দুই হাত বিচ্ছিন্ন অর্ধগলিত লাশ সোমবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে সকালে এলাকার লোকজন লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। লাশটি গত বৃহস্পতিবার রাতে মুঠোফোনে ডেকে নেওয়ার পর থেকে নিখোঁজ সুজন খান ওরফে মিরাজের (১৬)।

সুজনের পরিবারের দাবি, গত বৃহস্পতিবার সুজনকে মুঠোফোনে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তার খোঁজ  নেই। খবর পেয়ে তারা গিয়ে লাশটি সুজনের বলে শনাক্ত করেন। তবে এর আগে সন্ধ্যার দিকে পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে লাশের ময়নাতদন্তের    জন্য রাজবাড়ীতে পাঠায়। সুজন গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তর চরপাচুরিয়া গ্রামের সিরাজ খাঁর ছেলে। সে দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুলের নবম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র। পুলিশ ও এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে এলাকার কয়েকজন পদ্মার চরে পুঁতে রাখা একটি লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে। এ সময় কিশোরের দুই হাত দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। এ ছাড়া শরীরে ধারালো অস্ত্রের ৩-৪টি আঘাতের চিহ্ন আছে। সুজনের এক আত্মীয় বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বাড়িতে খাবার খাচ্ছিল সুজন। মুঠোফোনে কারও কল পেয়ে  সে বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় বাড়িতে মা-বাবা ছিলেন না। ছোট বোনকে বলেছিল জরুরি কাজ আছে। এরপর থেকে তার আর কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। পরের দিন শুক্রবার সুজনের বাবা সিরাজ খাঁ গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। লাশ উদ্ধারের পর তারা সুজনের কপালে থাকা কাটা দাগ, পরনের প্যান্টসহ অন্যান্য চিহ্ন দেখে নিশ্চিত হয়েছেন, লাশটি সুজনের। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে সবার ছোট।

সর্বশেষ খবর