রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

সুন্দরবনের করমজলে কুমিরের চার বাচ্চা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুন্দরবনের করমজলে কুমিরের চার বাচ্চা

সুন্দরবনের একমাত্র বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র করমজলে কুমির পিলপিলের চারটি ছানা ফুটেছে। গতকাল সকালে নতুন ইনকিউবেটরে রাখা ১১টি ডিম থেকে মাত্র চারটি বাচ্চা জন্ম নেয়।

চলতি বছরের ১২ জুন দুপুরে প্রজনন কেন্দ্রের পুকুরপাড়ে নিজের বাসায় ৪৪টি ডিম দেয় পিলপিল। ডিমগুলোর মধ্যে ২১টি পিলপিলের নিজের বাসায়, ১২টি পুরান ইনকিউবেটরে আর ১১টি নতুন ইনকিউবেটরে রেখে বাচ্চা ফোটানোর চেষ্টা করেন বনকর্মীরা। এর মধ্যে নতুন ইনকিউবেটরে রাখা ১১টি ডিমের মধ্যে চারটি ডিমে বাচ্চা ফুটেছে। এ ছাড়া ২৯ মে অন্য কুমির জুলিয়েট ৫২টি ডিম দিয়েছিল। তার মধ্যে ১৪টি ডিম জুলিয়েটের বাসায়, ২৬টি পুরান ইনকিউবেটরে আর ১২টি নতুন ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু জুলিয়েটের ৫২টি ডিমে কোনো বাচ্চা ফোটেনি বলে জানিয়েছেন করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির। তিনি বলেন, ‘করমজল দেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্র। এখানে প্রজননের জন্য দুটি মা কুমির রয়েছে। কুমির ডিম পাড়ার পর থেকে বাচ্চা ফোটানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। কিন্তু জুলিয়েট ও পিলপিল দুটি কুমিরেরই অনেক বয়স হয়েছে। ফলে তাদের ডিমে ফার্টিলিটির হার খুবই কম।’ তিনি আরও বলেন, এখানে বর্তমানে পুরনো যে ইনকিউবেটর রয়েছে সেগুলো অনেক সেকেলে। নতুন যে ইনকিউবেটরটি তৈরি করা হয়েছে তার ধারণক্ষমতা মাত্র ২৪টি। এ ধরনের আরও দু-একটি ইনকিউবেটর তৈরি করা গেলে সফলতা এলেও আসতে পারে বলে দাবি করেন তিনি। ২০০০ সালে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের যাত্রা হলে এখানে প্রথম কুমিরে ডিম দেয় ২০০৫ সালে। এখন পর্যন্ত করমজলে ২৯২টি কুমিরের ছানা জন্ম নিয়েছে। এর মধ্যে ১৯৫টি ছানা এখনো প্রজনন কেন্দ্রে রয়েছে। ৯৭টি কুমিরের ছানা সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে অবমুক্ত করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর