সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পাবনায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে গোলাগুলি, আহত ২৫

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার সুজানগরে জলাশয়ে মাছ চাষ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বিকালে উপজেলার রানীনগর ইউনিয়নের ভাটিকয়া গ্রামে রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে পুলিশ অস্ত্রসহ পাঁচজনকে আটক করেছে। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গুলিবিদ্ধ রানীনগর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রশিদুল ইসলাম রাশু জানান, ভাটিকয়া গ্রামের জলাশয়ে মাছ চাষ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা খাইরুল মাস্টারের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াহাবের সমর্থক ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহীনের দ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে শালিসের মাধ্যমে বিরোধের নিষ্পত্তি হয়। গতকাল দুপুরে    শালিসের সিদ্ধান্ত না মেনে শাহীনের লোকজন জোরপূর্বক মাছ ধরতে গেলে গ্রামবাসী বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহীন ও তার লোকজন অতর্কিত হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। এত কমপক্ষে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে আমিনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, জলাশয়ের দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই জেরে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ব্যবহৃত লাইসেন্স করা বন্দুকসহ জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গুলিবিদ্ধরা হলেন, ভাটিকয়া গ্রামের রাকিব (২৭), রাজিব খান (৩০), উজ্জ্বল (৩২), রায়হান (৩২), জিন্নাহ সর্দার (২৭), সেলিম (২৬), শাহীন (২৪) ও শাকিব (২০), রফিকুল (৩২), রাশু মেম্বার (৪০), পেয়ারা (৩৮), আমজেদ (৩২) ও আমির (৩৩)।

এ ব্যাপারে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল ওয়াহাবের মদদে রানীনগর যুবলীগ সভাপতি শাহীন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আবদুল ওয়াহাবের নির্দেশেই সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারেরও দাবি জানাচ্ছি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াহাব বলেন, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বিএনপি-জামায়াতের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে জলাশয়টি অবৈধ দখলে রেখেছিল। আওয়ামী লীগের লোকজন সেখানে মাছ ধরতে গেলে তাদের মারধর করলে সংঘর্ষ হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন।

সর্বশেষ খবর