মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ

-দেওয়ান কামাল

মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ

নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেছেন, দলকে চাঙ্গা করতে করোনার পরপরই জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। তিনি বলেন, অন্য সময়ের চেয়ে দলীয় কর্মকান্ড বেশি থাকলেও করোনায় স্বল্প পরিসরে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দলীয় কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী, শোকের মাসের বিভিন্ন কর্মসূচি, গ্রেনেড হামলা দিবস পালন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। নীলফামারীতে করোনাকালের রাজনীতি নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে কামাল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী এবারের মতো এত পর্যাপ্ত কোনো আমলে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া সব পেশার মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা করোনাকালে কর্মহীন হাজার হাজার মানুষকে সহায়তা করেছি। শহরের অভুক্ত কুকুরদেরও নিয়মিত রান্না করা খাবার দিয়েছি। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গঠিত ত্রাণ কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছি। আমাদের এমপি আসাদুজ্জামান নূর করোনাকালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এ ছাড়াও তিনি দুটি হটলাইন খুলেছিলেন, যারা হটলাইনে যোগাযোগ করেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা তাদের বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে। দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, করোনাকালে রাজনীতির চেয়ে মানবিক বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা মাইকিং করে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনেচলা, পাশাপাশি যারা করোনা দুর্ভোগে পড়েছেন তাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ওয়ার্ডভিত্তিক দুস্থ অসহায় মানুষের তালিকা তৈরিতে নেতা-কর্মীরা সহায়তা করেছেন। তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে নীলফামারীর জনগণের পাশে রয়েছে আওয়ামী লীগ। করোনা সংক্রমণ শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রতিটি বাড়ি, হাটবাজারসহ জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ, নর্দমা পরিষ্কার, শহরের সড়ক, প্রতিষ্ঠান ও পৌর এলাকার বাড়ি বাড়ি জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে, শহরের প্রতিটি মোড়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং হাটবাজারে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়। হাটবাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা করার জন্য মানুষকে সচেতন করতে স্বেচ্ছাসেবক ইউনিট গঠন করা হয়। শহরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। তিনি বলেন, জনগণের সেবা করতে গিয়ে আমি নিজেই গত ৫ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হই। ৬ জুলাই জননেত্রী শেখ হাসিনা বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার পাঠিয়ে আমাকে ঢাকায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে আমার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর