নীলফামারী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি ও শিক্ষাবিদ আবু মুসা মাহামুদুল হক বলেছেন, করোনাকালে সরকার সুপরিকল্পিতভাবে এই মহামারী মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও অনেক কাজের ভুলভ্রান্তি ও দুর্বলতা রয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতটা অগোছালো এবং গণমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, এরকম একটা ভয়াবহ অতি সংক্রামক রোগে রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির বড় কোনো ভূমিকা পালন করা কঠিন। কারণ, যথাযথ নিরাপত্তা এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করা সত্ত্বেও বিপুলসংখ্যক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নীলফামারী জেলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জনসেবামূলক কাজ করেছে যা প্রত্যাশার তুলনায় অপ্রতুল। নীলফামারী জেলা বিএনপি ও জাতীয় পার্টি কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে। তিনি বলেন, নীলফামারী জেলায় এই রোগের প্রকোপ খুবই সীমিত। জেলা সদর হাসপাতালে মাত্র শতাধিক আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছেন এবং সুস্থ হয়েছেন। সদর হাসপাতালের চিকিৎসক এবং কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রশংসনীয় সেবা দিচ্ছেন। করোনার শুরুতে জেলা আওয়ামী লীগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় লকডাউন কার্যকর করা এবং ত্রাণ পৌঁছানোর কাজ প্রশংসনীয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের ভূমিকাও প্রশংসনীয়। পৌরসভার পক্ষ হতে প্রতিদিন সচেতনতামূলক কাজ করা হয়েছে এবং খাদ্য সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বিশেষভাবে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরীর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। জেলা প্রশাসন সচেতনতা সৃষ্টি ছাড়াও সরকারি সহায়তা যথাযথভাবে বিতরণ করেছে।