মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
প্রদীপের বিরুদ্ধে আরও দুই মামলা

সিনহা হত্যায় তদন্ত প্রতিবেদন ১৩ সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক ও কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় গঠিত প্রশাসনিক কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি গতকাল এ প্রতিবেদন জমা দেয়। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

এদিকে অভিযুক্ত বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে এক দিনে আরও দুটি মামলা করা হয়েছে। নিহত দুজন হলেন নূর মোহাম্মদ টেকনাফ সদরের নাজিরপাড়ার বাসিন্দা এবং মো. আজিজ একই ইউনিয়নের ডেইলপাড়ার বাসিন্দা। এ নিয়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা  দায়ের করা হলো। এর মধ্যে ৮টি কক্সবাজার আদালতে এবং অপরটি চট্টগ্রাম আদালতে। সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ-৩) হেলাল উদ্দীনের আদালতে টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ ও মো. আজিজকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে এই দুই মামলা করা হয়। নিহত নূর মোহাম্মদের স্ত্রী লায়লা বেগম ও মো. আজিজের মা হালিমা খাতুন বাদী হয়ে এই দুটি মামলার আবেদন করেন। দুটি মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী নূর হোসেন নাহিদ মো. মোস্তফা জানান, ফৌজদারি মামলার এজাহার দুটি আমলে নিয়েছেন আদালত এবং ওই ঘটনা সংক্রান্ত অন্য মামলা হয়েছিল কিনা, নিহত দুজনের ময়নাতদন্ত হয়েছিল কিনা তা আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

 নিহত নূর মোহাম্মদের মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, গত বছরের ১৯ মার্চ বীজ ও সার আনতে গেলে কৃষি অফিস থেকে কৃষি সরঞ্জাম ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তার পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন ওসি প্রদীপসহ অন্যরা। না দিলে তাকে ক্রসফায়ারে মারা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে বিভিন্নভাবে জোগাড় করে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু ২১ মার্চ রাতে নূর মোহাম্মদকে কয়েকজন পুলিশ ঝাউবাগানে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। অপরদিকে নিহত মো. আজিজের মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর টেকনাফ থানার একদল পুলিশ মো. আজিজ, নূর হাসান ও আবুল খায়ের নামের তিনজনকে ধরে নিয়ে যায়। পরে মো. আজিজের পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন ওসি প্রদীপসহ অন্যরা। না দিলে আজিজকে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এতে নিরুপায় হয়ে বিভিন্নভাবে ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে পুলিশকে দেয় আজিজের পরিবার। কিন্তু ১৯ অক্টোবর রাতে টেকনাফের মহেশখালীয়াপাড়া নদীঘাট এলাকায় আজিজকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়।

সর্বশেষ খবর