বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
সংসদে বিল পাস

রাসায়নিক পরীক্ষা হবে দেশেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাসায়নিক পরীক্ষা করার জন্য আর বিদেশে যেতে হবে না, দেশেই হবে সব রাসায়নিক পরীক্ষা। ওষুধশিল্পসহ অন্যান্য শিল্পে রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান বিষয়ক সব গবেষণার সুযোগ রেখে সংসদে পাস হয়েছে ‘বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস বিল, ২০২০’।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে করোনাকালীন নবম সংসদে গতকাল বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। ২৩ জুন বিলটি সংসদে উত্থাপিত হয়।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, আইনটি প্রবর্তন হলে একটি বিশ্বমানের ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য রাসায়নিক পরিমাপ সেবার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই আইনের অধীনে ২০১২ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত ‘ডেজিগনেটেড  রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস’ বা ‘ডিআরআইসিএম’ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন রূপান্তরিত হবে একটি সংবিধিবদ্ধ ইনস্টিটিউটে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হবেন মহাপরিচালক। পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব। বিলে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে বিভিন্ন রাসায়নিকের পরিমাপ নিয়ে গবেষণায় সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা ‘প্রফিসিয়েন্সি টেস্টিং’ ও ‘ইন্টার-ল্যাবরেটরি কমপ্যারিজন’ ইত্যাদি রাসায়নিক পরিমাপ ও রেফারেন্স পরিমাণ বিষয়ক সেবা দেবে। নতুন এ আইনের অধীনে একটি স্বতন্ত্র গবেষণাগার প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হবে। প্রতিষ্ঠানটি রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান-সংক্রান্ত সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা এবং সমধর্মী দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল পাস : এ ছাড়া গতকাল সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল, ২০২০। জাতীয় প্রয়োজনে প্রকৌশল বিজ্ঞানের প্রায়োগিক ক্ষেত্র, যেমন পূর্ত, যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিকসহ সব ধরনের অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, মালামালের নকশা প্রণয়ন, উৎপাদন-রক্ষণাবেক্ষণ ও গুণগত মান নির্ধারণে প্রকৌশল গবেষণা করতে এ আইন প্রণীত হয়। এ আইনের বিলটিও পাসের প্রস্তাব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়। বিলে বলা হয়েছে, কাউন্সিল পরিচালনায় ছয় সদস্যের একটি গভর্নিং বডি থাকবে, যার চেয়ারম্যান সরকার নিয়োগ করবে। এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদেও চেয়ারম্যান হবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল আইন হিসেবে প্রবর্তন করা হলে প্রযুক্তি ও প্রকৌশল গবেষণার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে সহায়ক হবে।

সর্বশেষ খবর