বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পিঁয়াজ নিয়ে কঠোর অবস্থানে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। কোনো ধরনের অজুহাত দিয়ে মূল্যবৃদ্ধি বা পণ্যটির মজুদ তৈরি করে সরবরাহে বিঘœ সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হয়েছে। মাঠে রয়েছে গোয়েন্দারাও।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যাপ্ত মজুদ ও আমদানি অব্যাহত থাকার পরও হঠাৎ করে পিঁয়াজের দাম বাড়ানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া পণ্যটি আমদানি সহজ করতে কাস্টমসসহ বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পিঁয়াজের শুল্ক কমাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-কে। উপরন্তু পণ্যটির দাম যাতে ভোক্তার নাগালে থাকে সে লক্ষ্যে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তুকিমূল্যে পিঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি। এতসব উদ্যোগের পর পণ্যটির দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে গত মাস থেকে বাড়তে থাকে পিঁয়াজের দাম, যা গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৭০ টাকায় ওঠে। গত   দুই  দিন ধরে দাম কিছুটা কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ দামও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। ব্যবসায়ীরা অবশ্য এ বাড়তি দামের দায় চাপিয়ে দিতে চাইছেন পার্শ্ববর্তী দেশটির ওপর। তারা বলছেন, ভারতে দাম বাড়ার কারণেই পিঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে দেশে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বৃষ্টি ও বন্যার অজুহাত তুলে কেউ কেউ পিঁয়াজের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে।

তবে পিঁয়াজ উৎপাদন হয় এমন জেলাগুলোতে খোঁজ নেওয়ার পর মন্ত্রণালয় জানতে পেরেছে পণ্যটির মজুদে কোনো ক্ষতি হয়নি। এ ছাড়া স্থলবন্দরগুলো দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই পণ্যটির আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেন, দেশে পর্যাপ্ত পিঁয়াজ মজুদ রয়েছে, আমদানিও স্বাভাবিক। পিঁয়াজের সংকট বা মূল্যবৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। অবৈধ মজুদ বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা হলে সরকার আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সর্বশেষ খবর