বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি

পাহাড়ে মাল্টার বাম্পার ফলন

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে মাল্টার বাম্পার ফলন

গাছে গাছে ঝুলছে কাঁচা-পাকা মাল্টা। রং সবুজ। কাঁচা আর পাকার মধ্যে বোঝা যায় না তেমন কোনো পার্থক্য। কম খরচ, ব্যাপক ফলন। পাহাড়ে এ বছরও মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ফলন এসেছে প্রায় দ্বিগুণ। কৃষকের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে পাহাড়ে উৎপাদিত এ সবুজ মাল্টা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে দেশে-বিদেশে। কৃষক বলছেন, পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া উপযুক্ত থাকায় এবার মাল্টা চাষে সফল হয়েছেন। মাল্টা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এমন কৃষকের গল্প অনেক। স্থানীয় মাল্টা চাষি বসুদেব চাকমা জানান, রাঙামাটি মগবান ইউনিয়নের ঝগড়াবিল এলাকায় ৩ একর জমিতে ৫৫০টি সবুজ মাল্টা গাছ লাগান তিনি। এখন সব গাছ কাঁচা-পাকা সবুজ মাল্টায় ভরপুর। কয়েক সপ্তাহ পরে বাজারজাত করা যাবে তার বাগানের এসব মাল্টা। কষ্টের ফল বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার আশা করছেন তিনি। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি জেলায় এবার মাল্টা আবাদ হয়েছে ২১০ হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন; যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। পাহাড়ি এ মাল্টা ইতোমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এবার রাঙামাটি সদর, বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, কাপ্তাই ও নানিয়ার চর উপজেলায় মাল্টার আবাদ হয়েছে। পাহাড়ি জুম চাষিরা এখন মাল্টা চাষে বেশ আগ্রহী। স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, পাহাড়ে উৎপাদিত এ মাল্টার নাম বারি মাল্টা-১। অন্যান্য মাল্টার রং হলুদ হলেও পাহাড়ে উৎপাদিত মাল্টা দেখতে সবুজ। তবে খুব রসালো আর মিষ্টি। এ মাল্টার চাহিদা অনেক। রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক পবন কুমার চাকমা জানান, এখানকার মাটি ও আবহাওয়া যে কোনো চাষাবাদের জন্য উপযোগী। তাই সহজে কৃষক সফলতা পান। পাহাড়ে উৎপাদিত দেশীয় মাল্টার সম্ভাবনা কাজে লাগানো গেলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারেন স্থানীয় কৃষক।

সর্বশেষ খবর