শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রতি বছর প্রত্যেক উপজেলায় চাকরি পাবে ১ হাজার তরুণ-তরুণী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতি উপজেলা থেকে প্রতি বছর ১ হাজার তরুণ-তরুণীকে চাকরি দেওয়া হবে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলানগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবে রূপায়ণ : বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ শীর্ষক জনঅবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস। সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনায় (২০২১-২০৪১) মানসম্মত  শিক্ষার মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং জনমিতিক লভ্যাংশ আহরণ বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০৪১ সালের মধ্যে নিরঙ্কুশ দারিদ্র্য সর্বাংশে দূর করাসহ উচ্চ আয়ের মর্যাদা অর্জনের জন্য মূল্য প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য নিরসনসংশ্লিষ্ট অভীষ্ট সামনে রেখে মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা, ২০৪১-এর কর্মসূচি পরিচালিত হবে। বিশেষ করে এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির প্রতিষ্ঠান, জনসংখ্যার শতভাগ সাক্ষরতা, ১২ বছর বয়সীদের জন্য সর্বজনীন অবৈতনিক শিক্ষা, কর্মভিত্তিক দক্ষতা অর্জনে আগ্রহীদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি, সাশ্রয়ী মূল্যে স্বাস্থ্যবীমা স্কিমে সর্বজনীন অভিগম্যতা, সংগঠিত খাতে সব কর্মীকে কর্মকালীন দুর্ঘটনা ও স্বাস্থ্যবীমার শতভাগ আওতায় আনা এবং প্রতি উপজেলা থেকে প্রতি বছর ১ হাজার তরুণ-তরুণীর জন্য চাকরির নিশ্চয়তা প্রদান। পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনায় (২০২১-২০৪১) মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ে লক্ষ্যমাত্রা হলো- দেশের মানুষের সম্ভাব্য আয়ু ২০৩১ সালের মধ্যে ৭৫ ও ২০৪১ সালে ৮৩ বছরে নিয়ে যাওয়া; জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ২০৩১ সালের মধ্যে ১ শতাংশে নিয়ে আসা এবং ২০৪১ সাল পর্যন্ত এ হারই ধরে রাখা; মাতৃমৃত্যু হার ২০৩১ সালে প্রতি লাখে ৭০ ও ২০৪১ সালে তা কমিয়ে ৩৬ জনে নিয়ে আসা; শিশুমৃত্যু হার ২০৩১ সালের মধ্যে প্রতি হাজারে (জীবিত জন্ম) ১৫ জনে নিয়ে আসা ও ২০৪১ সালে তা চারজনে নিয়ে আসা; পাঁচ বছরের কম বয়সীদের কম ওজন (৬ থেকে ৫৯ মাস) ২০৩১ সালে পাঁচজনে নিয়ে আসা ও ২০৪১ সালে তা কমিয়ে দুজনে নিয়ে আসা; খর্বকায় ২০৩১ সালের মধ্যে ১৫ জনে নিয়ে আসা ও ২০৪১ সালে তা দুজনে নিয়ে আসা; মোট উর্বরতার হার ২০৩১ সালে ১ দশমিক ৮ শতাংশে এবং ২০৪১ সাল পর্যন্ত তা ধরে রাখা; স্বাস্থ্যবীমার কাভারেজ ২০৩১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশে নিয়ে আসা এবং স্বাস্থ্যের জন্য পাবলিক ব্যয় ২০৩১ সালে ১ দশমিক ৫ শতাংশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে তা ২ শতাংশ করা।

 শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার হার ২০৩১ সালের মধ্যে শতভাগ নিশ্চিত করা এবং তা ২০৪১ সাল পর্যন্ত ধরে রাখা; নিট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ২০৩১ সালের মধ্যে শতভাগ নিশ্চিত করা এবং তা ২০৪১ সাল পর্যন্ত ধরে রাখা; প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়ার হার ২০৩১ সালের মধ্যে শূন্যে নিয়ে আসা এবং ২০৪১ সাল পর্যন্ত তা ধরে রাখা; নিট মাধ্যমিক শিক্ষা ২০৩১ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ নিশ্চিত করা এবং ২০৪১ সালে তা ৯৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া; মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়ার হার ২০৩১ সালে শূন্যে নিয়ে আসা এবং ২০৪১ সাল পর্যন্ত তা ধরে রাখা; উচ্চশিক্ষার হার ২০৩১ সালে ৫০ শতাংশ নিশ্চিত করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ নিশ্চিত করা; উচ্চশিক্ষায় নারী শিক্ষার্থীর শতকরা ভাগ ২০৩১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ নিশ্চিত করা এবং ২০৪১ সাল পর্যন্ত তা ধরে রাখা; টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল শিক্ষায় ভর্তির হার ২০৩১ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ করা এবং ২০৪১ সালে তা ৪১ শতাংশ করা এবং শিক্ষায় জনসাধারণের ব্যয় ২০৩১ সালে মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৫ শতাংশ করা এবং ২০৪১ সালে ৪ শতাংশ করা।

সর্বশেষ খবর