শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সংক্রমণ কমলেও ঠেকানো যাচ্ছে না মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংক্রমণ কমলেও ঠেকানো যাচ্ছে না মৃত্যু

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হার কমতে শুরু করেছে। তবে বেড়েই চলেছে মৃত্যুর হার। একইসঙ্গে বাড়ছে ষাটোর্ধ্ব মানুষ ও নারীর মৃত্যু। এক মাস আগে গত ১০ আগস্ট ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত রোগী শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ, ষাটোর্ধ্ব মানুষের মৃত্যুর হার ৪৭ দশমিক ১৮ শতাংশ ও নারীর মৃত্যুর হার ছিল ২০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার কমে ১২ দশমিক ১৬ শতাংশে নামলেও মৃত্যুহার বেড়ে হয়েছে ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ষাটোর্ধ্ব মানুষের মৃত্যুহার বেড়ে হয়েছে ৫০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ ও নারীর মৃত্যুহার বেড়ে হয়েছে ২২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যে এমনটা জানা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৫৫৯টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১ হাজার ৮৯২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৭০ জন। একই সময়ে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন আরও ৪১ জন। এতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৩৪ জনে। ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৭৪৬ জন সুস্থ হওয়ায় এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হলেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫০ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭০ দশমিক ১৪ শতাংশ ও মৃত্যু হার ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪১ জনের সবারই মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এর মধ্যে পুরুষ ৩১ জন ও নারী ১০ জন। বয়স বিবেচনায় মৃত ৪১ জনের মধ্যে ১৯ জনই ষাটোর্ধ্ব। ১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ও ১ জনের বয়স ছিল ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে ২২ জন ঢাকা, ৬ জন চট্টগ্রাম, ৫ জন রাজশাহী, ৩ জন খুলনা, ২ জন করে রংপুর ও ময়মনসিংহ এবং ১ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু ঢাকার ভিতরেই নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯ হাজার ২৬৩টি এবং ঢাকার বাইরে হয়েছে ৬ হাজার ২৯৬টি।

 সারা দেশের কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর মোট ১৪ হাজার ৩১৩টি সাধারণ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছে মাত্র ৩ হাজার ৩৫৪টিতে। ৫৪৭টি আইসিইউর মধ্যে খালি রয়েছে ২৫২টি। প্রথম রোগী শনাক্তের ছয় মাসের মাথায় এসে কমে গেছে হটলাইনে ফোনকল। দুই মাস আগেও যেখানে কভিড-১৯ সেবা নিতে হটলাইনে দৈনিক ফোনকল আসত দুই লাখের কাছাকাছি, সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনে ফোনকল এসেছে মাত্র ৫৩ হাজার ২৭২টি।

সর্বশেষ খবর