শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মাদকের আসামিকে ধরিয়ে দেওয়ায় খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাদক মামলার আসামি ধরিয়ে দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় র‌্যাবের সোর্স কাশেমকে (৩৫)। ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে আসামি গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানা যায়। পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছিল।

গতকাল বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ বলেন, ১ সেপ্টেম্বর শেরেবাংলা নগর থেকে নারী মাদক ব্যবসায়ী নূরজাহান ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় ১ কেজি ১০০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়। ওই নারীর নামে তেজগাঁও থানায় ৩টি, আর তার ছেলের নামের দুটি মাদক মামলা রয়েছে। ওই গ্রেফতার অভিযানে সহায়তা করে র‌্যাবের সোর্স কাশেম। বিষয়টিকে ভালোভাবে নিতে পারেনি নূরজাহানের সঙ্গে মাদক ব্যবসায় জড়িত অন্যরা। এ কারণে তারা পরিকল্পনা করে র‌্যাবের সোর্স কাশেমকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার। তিনি বলেন, চল্লিশোর্ধ্ব নূরজাহানের সঙ্গে অসামাজিক সম্পর্ক ছিল জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাতুলের (৩২)। ৫ সেপ্টেম্বর রাতুল ও রুবেলের মোটরসাইকেলে করে চারজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করতে থাকে কাশেমের। কাশেমকে না পেয়ে তার স্ত্রী নাহারকে কাশেমের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। নাহার যেন এ বিষয়ে স্বামীকে কিছু জানাতে না পারে সে জন্য ভেঙে ফেলে নাহারের মোবাইলফোনটি। এক পর্যায়ে উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ে তারা কাশেমকে পেয়ে যায়। ধারালো সুইচ গিয়ার বের করে তারা কাশেমকে ধাওয়া করতে থাকে। প্রাণভয়ে দৌড়াতে থাকা কাশেম পড়ে যায় পরিকল্পনা কমিশনের সামনের ফুটপাথে। এরপর রাতুলের সুইচ গিয়ার নিয়ে মাসুদ উপর্যুপরি কোপাতে থাকে কাশেমকে। পথচারীরা ঘটনাস্থল থেকে কাশেমকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এরপর ৬ সেপ্টেম্বর কাশেমের স্ত্রী শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর থেকেই অভিযানে নামে পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে ৯ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী থেকে গ্রেফতার করা হয় মাসুদকে, এরপর তার দেওয়া তথ্যে গ্রেফতার করা হয় বাকিদের। এরা হলেন-রাতুল, রেজাউল ও রুবেল।

সর্বশেষ খবর