রাজধানীর কাঁঠালবাগানে একটি ভবনের ৯ তলা থেকে পড়ে সাবেক এমপি শহিদুল ইসলামের ছেলে ব্যারিস্টার আসিফ ইমতিয়াজ খানের (৩৩) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাঁঠালবাগান ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ১৬৩ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। সংকটাপন্ন অবস্থায় আসিফকে উদ্ধার করে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে আসিফের শ্যালক সাইমন শাহিদ নিশাদ জানান, চার বছর আগে আসিফ তার বড় বোন সাবরিনা শাহিদ নিশিতাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। আসিফের পরিবার এটি মেনে নেয়নি। এজন্য আসিফ কাঁঠালবাগানে তাদের বাড়িতেই থাকতেন। আসিফের পরিবার থাকত মিরপুরে। প্রতি রাতেই তার দুলাভাই ড্রিঙ্ক করতেন।
গত রাতেও (বৃহস্পতিবার) ড্রিঙ্ক করেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তর্কবিতর্ক হয়। পরে রেগে বারান্দায় গিয়ে বসে ছিলেন। ভোর রাতে রেলিং বেয়ে ওপর থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েন। আসিফের বাবা অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-কামারখন্দ) আসনের ১৯৮৬-৯০ মেয়াদে এমপি ছিলেন। তিনি বলেন, ভোরে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনই খবর দেয় আসিফের অবস্থা ভালো না, তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে এসে আসিফকে মৃত দেখতে পান তারা। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, প্রাথমিকভাবে ওপর থেকে পড়ে যাওয়ার সিমটম পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও তার ভিসেরা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র বলেন, আমরা নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। আসিফের স্ত্রীর ভাষ্য, তিনি নিয়মিত বিয়ার খেতেন। গত রাতেও খেয়েছেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। আসিফ রাতে বারান্দায়ই বসা ছিলেন। শেষ রাতে আচমকা ৯ তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।