শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রযুক্তিনির্ভর প্রতারণা বেড়েছে চট্টগ্রামে

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

প্রযুক্তিনির্ভর প্রতারণা বেড়েছে চট্টগ্রামে

চট্টগ্রামে বেড়েছে প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক প্রতারণা। মোবাইল ব্যাংকিং, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড প্রতারণার শিকার হয়ে প্রতিদিনই কেউ না কেউ অভিযোগ নিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে। কিন্তু প্রতারক চক্রগুলোর নিত্যনতুন কৌশলের কারণে অনেক প্রতারকই থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

সিএমপিতে সদ্য যোগদানকারী কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘প্রযুক্তিনির্ভর প্রতারণা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এরই মধ্যে যে মামলাগুলো দায়ের হয়েছে তা দ্রুত তদন্ত শেষ করে আসামিদের গ্রেফতারের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার হামিদুল আলম বলেন, ‘ইদানীং মোবাইল ব্যাংকিং ও ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের প্রতারণার কিছু অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও চলছে। দু-একটি তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করছি দ্রুত এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতারের আওতায় আনতে পারব।’ জানা যায়, করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় হঠাৎ বেড়েছে মোবাইল ব্যাংকিং, ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড প্রতারণা। গত কয়েক মাসে প্রযুক্তিনির্ভর প্রতারণা বেড়েছে বিগত বছরের চেয়ে কয়েক গুণ। এর মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংভিত্তিক প্রতারণার অভিযোগ নিয়মিতই পাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মোবাইল ব্যাংকিংভিত্তিক প্রতারণায় জড়িত কতিপয় এজেন্টসহ পৃথক কয়েকটি গ্রুপ। মূলত এজেন্টের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংক হিসাবধারীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে প্রতারক চক্রের সদস্যরা।

ওই নম্বরে অন্য একটি জেলা থেকে শিকারকে ফোন করে প্রতারক চক্রের অন্য একটি গ্রুপ। মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এবং পুরস্কার জেতার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়। শিকারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর দু-তিন জেলা ঘুরিয়ে ক্যাশ আউট করা হয়। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড প্রতারক চক্র বিশেষ সিপিযুক্ত কার্ড নিয়ে ঘুরে বেড়ায় নগরীর অভিজাত শপিং সেন্টারগুলোয়। কোনো ক্রেতা শপিংয়ের পর কার্ড পাঞ্চ করার পরপরই বিশেষ কার্ডটি মেশিনে প্রকাশ করায় প্রতারক চক্রের সদস্যরা। এতে ক্রেতার যাবতীয় তথ্য ও পিন কোড চলে যায় প্রতারকদের তৈরি করা বিশেষ কার্ডে। যাবতীয় তথ্য পেয়েই শুরু হয় প্রতারণা। সিএমপির কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘কয়েকটা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণাগুলো সংঘটিত হয়। একাধিক জেলায় ঘুরিয়ে টাকা ক্যাশ আউট করে বলে অনেক সময় আসামি চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। তার পরও আমাদের চেষ্টা থাকে আসামিদের গ্রেফতারের আওতায় আনার।’

সর্বশেষ খবর