রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

১২ শতাংশের নিচে নামল শনাক্তের হার

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ শতাংশের নিচে নামল শনাক্তের হার

চার মাস পর ১২ শতাংশের নিচে নেমেছে দৈনিক করোনা রোগী শনাক্তের হার। তবে এক দিনের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষা কমানো হয়েছে ৪ হাজার ২৪টি। গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে সুস্থতাও। পরিবর্তন আসেনি দৈনিক মৃতের সংখ্যায়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৭২৩টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১ হাজার ২৮২ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এর আগে ৯ মে এর চেয়ে কম শনাক্তের হারের তথ্য জানানো হয়। ওই দিন শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় যে-সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তা ছিল গত ১৬ আগস্টের পর সর্বনিম্ন; আর আগের দিনের তুলনায় ৪ হাজার ২৪টি কম। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মারা গেছেন ৩৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৪৭ জন। এর আগের দিনও মারা গেছেন ৩৪ জন। তবে সুস্থ হয়েছেন আরও ২২৭ জন বেশি। দিনের ব্যবধানে দৈনিক মৃতের সংখ্যায় পরিবর্তন না এলেও শনাক্ত কমে যাওয়ায় বেড়েছে মৃতের হার। শনাক্ত বিবেচনায় গত শুক্রবার মৃতের হার ছিল ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গতকাল তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ দশমিক ৪০ শতাংশে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগী নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৪ জন। মোট মারা গেছেন ৪ হাজার ৭০২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ২৭১ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭০ দশমিক ৯০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ, ১১ জন নারী। ৩৩ জন হাসপাতালে ও একজন বাড়িতে মারা গেছেন। বয়স বিবেচনায় মৃত ৩৪ জনের মধ্যে ১৯ জন ছিলেন ষাটোর্ধ্ব, সাতজন পঞ্চাশোর্ধ্ব, পাঁচজন চল্লিশোর্ধ্ব, একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, একজনের ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ও একজন ছিল ১০ বছরের কম বয়সী। এর মধ্যে ১৭ জন ঢাকা, সাতজন চট্টগ্রাম, পাঁচজন রাজশাহী, চারজন খুলনা ও একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা। বয়স বিবেচনায় এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ (৫০ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ) মৃত্যু হয়েছে ষাটোর্ধ্ব মানুষের। লিঙ্গ বিবেচনায় সর্বোচ্চ (৭৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ) মৃত্যু হয়েছে পুরুষের। এলাকাভিত্তিক সর্বোচ্চ (৪৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ) মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। সারা দেশের কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর ১৪ হাজার ২৭৫টি সাধারণ শয্যার মধ্যে খালি রয়েছে ১০ হাজার ৯৫৬টি। ৫৪৭টি আইসিইউর মধ্যে খালি রয়েছে ২৬১টি। ৯৬ শতাংশের বেশি আক্রান্ত হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

সর্বশেষ খবর