রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

উড়োজাহাজে যাত্রী বসায় বিধিনিষেধ উঠে গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের কারণে বিমানের ওপর আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। আজ থেকে বিমানের সিটগুলোতে যাত্রী বসায় আর কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না। যাত্রীরা এখন সিটগুলোতে পাশাপাশি বসতে পারবেন। বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক)  চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান গতকাল এ তথ্য দিয়ে বলেছেন, আগে এক সিটে যাত্রী বসলে পাশের সিট খালি রাখা হতো। এখন থেকে আর সেই নিয়ম থাকছে না। পাশাপাশি সিটগুলোতে যাত্রীরা বসতে পারবে। তবে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের (আইকাও) নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি বিমানের শেষ দুটি সারির সিট খালি রাখতে হবে।

বেবিচক সূত্র জানায়, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলে শতাধিক ফ্লাইট প্রতিদিন বিমানবন্দরে ওঠানামা করছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগই অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট। তবে আগের চেয়ে বেড়েছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংখ্যাও। বর্তমানে দেশি-বিদেশি প্রায় ১০টির মতো এয়ারলাইনস বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেওয়ার পর যেসব এয়ারলাইনস সপ্তাহে দুটি বা তিনটি ফ্লাইট নিয়ে চলাচল শুরু করেছিল তাদের প্রত্যেকেই গত এক মাসে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। এ অবস্থায় সরব হচ্ছে আকাশপথ। জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বর্তমানে দোহা, দুবাই, লন্ডন ও কুয়ালালামপুরে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। অভ্যন্তরীণ রুটেও ফ্লাইট সংখ্যা বাড়িয়েছে তারা। বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস প্রতিদিন কক্সবাজারে তিনটি, চট্টগ্রামে পাঁচটি,  সৈয়দপুরে পাঁচটি, যশোরে চারটি, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহীতে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এ ছাড়া চীন, কাতার ও মালয়েশিয়ায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে সংস্থাটি। নভোএয়ার প্রতিদিন চট্টগ্রামে চারটি, কক্সবাজারে তিনটি, যশোরে চারটি, সৈয়দপুরে চারটি, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহীতে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। যাত্রীদের সিটে বসা নিয়ে যে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল, তা উঠে যাওয়ায় আকাশপথে যাত্রী পরিবহন বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযাগ) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের আসন বিন্যাস নিয়ে বেবিচকের নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। রবিবার থেকেই যাত্রী পরিবহনে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত মে মাসে ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে বেশকিছু নির্দেশনা ঠিক করে দেয় বেবিচক। সে সময় তারা বলেন, আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে উড়োজাহাজের এক সিটে বসবেন যাত্রী, পাশের সিট থাকবে ফাঁকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই ফ্লাইট পরিচালিত হবে- সেটা অভ্যন্তরীণ রুট হোক বা আন্তর্জাতিক রুট। আইকাওয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি গাইডলাইন তৈরি করে দেশের এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করে বেবিচক। বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল করলেও উড়োজাহাজের ভিতরে দুজন যাত্রী পাশাপাশি বসতে পারবেন না। যে সিটে যাত্রী বসবেন তার পাশের সিটটি রাখতে হবে ফাঁকা। যদি প্রতি সারিতে তিনটি করে মোট ছয়টি সিট থাকে তাহলে প্রতি সারির মাঝের সিটটি ফাঁকা রাখতে হবে। যদি প্রতি সারিতে দুটি করে চারটি সিট থাকে তাহলে একটি সিটে যাত্রী থাকবে, অপরটি থাকবে ফাঁকা। বেবিচকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রতিটি ফ্লাইটের সামনে অথবা পেছনে একটি সারির সিট খালি রাখতে হবে। ফ্লাইটের মাঝে কোনো যাত্রী যদি অসুস্থ বোধ করেন তাহলে তাকে ওই সারিতে আলাদাভাবে বসাতে হবে।

সর্বশেষ খবর