রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

শিমুলিয়ায় আবারও ফেরি চলাচল বিঘ্ন

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ার তিন নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত শুক্রবার রাতে আকস্মিক পদ্মার ভাঙন শুরুর পর ঘাট এলাকার নানা স্থাপনাসহ ১০ একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। অন্যদিকে বন্ধ থাকার নয় দিন পর শুক্রবার পরীক্ষামূলক চালু হলেও নাব্য সংকটে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এ অবস্থায় পদ্মার উত্তাল স্রোতে শিমুলিয়া ঘাটসহ আশপাশের দোকানপাট, খাবার হোটেল বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের কারণে ঘাট এলাকার স্থাপনা এবং আশপাশের বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েও সারতে পারছেন না স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে যুগ্ম সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর সদস্য নুরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ভাঙন শুরু হওয়ার পর জিওব্যাগ ফেলছি। এখন বর্ষাকাল, পানি অনেক বেশি, ফলে পারমানেন্ট যে ব্যবস্থা সিটুপাইল বা সিট পাইলিং এখন এ অবস্থায় সম্ভব নয়। আমাদের কাছে ১০ হাজার জিওব্যাগ মজুদ আছে, সেগুলো ফেলছি। যদি আরও লাগে আমরা ব্যবস্থা করব। তাছাড়া ফেরিঘাট, লঞ্চ ঘাটগুলোর কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে তার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। সার্ভে করার জন্য আমরা হাইড্রোগাফির একটি টিমকে বলেছি। তারা আজই কাজ শুরু করে দেবে। এরপর আমরা জানতে পারব, এখানে পানির গভীরতা কতটুকু। যেখানে পানির গভীরতা বেশি সেখানে ভাঙনের ঝুঁকি বেশি থাকবে। সে এলাকায় বেশি করে জিওব্যাগ ফেলতে হবে। সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিআইডব্লিউটিএর উপসহকারী প্রকৌশলী হারিস আহম্মেদ পাটোয়ারী জানান, কয়েক ঘণ্টার ভাঙনে ১০ একর এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। এর মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর সাড়ে তিন একর। আর বিআইডবিউটিএর ২৯ একর জায়গার মধ্যে শিমুলিয়া বন্দরের সাড়ে ৬ একর জায়গা এখন পদ্মার পেটে। বিআইডব্লিউটিসির এজিএম শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বন্ধ থাকার ৯ দিন পর শুক্রবার পরীক্ষামূলক ফেরি চালু হয়। কিন্তু ফেরিগুলো ঠিকমতো চলচল করতে পারছে না। গতকাল সকাল ৮টায় শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে যায় ফেরি কিশোরী ও কুমিল্লা। ফেরি দুটি মাঝ পদ্মা থেকে আবার শিমুলিয়া ঘাটে ফিরে আসে। দেড় ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৯টায় ফেরি দুটি আবার শিমুলিয়া ঘাট থেকে রওনা দিয়েছে। ঘাটে শতাধিক গাড়ি পারের অপেক্ষায় আটকা রয়েছে। এখন ৫টি ফেরি দিয়ে দিনের বেলা সীমিত আকারে ফেরি সার্ভিস সচল রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর