সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) গাইবান্ধা জেলা সভাপতি অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম বলেছেন, করোনাকালে গাইবান্ধায় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম সন্তোষজনক নয়। করোনা ও বন্যায় মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ কিছুটা মাঠে ছিল। আর বিএনপির তৎপরতা ছিল সামান্য। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে বিভিন্ন দিবস পালনে ঘরের ভিতরে সীমাবদ্ধ ছিল দল দুটি। তিনি বলেন, ২৫ লক্ষাধিক জনসংখ্যার এ জেলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৪ হাজার ৭১৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ অবস্থায় কোনোভাবেই জেলার করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না। অথচ জেলায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জেলা কমিটি ছাড়া বড় দলগুলো কোনো আওয়াজ তোলেনি। আওয়ামী লীগ যে সহায়তা দিয়েছে তার বেশিরভাগই সরকারি বরাদ্দের অংশ। বরং সিপিবি ধারাবাহিকভাবে দীর্ঘদিন তহবিল সংগ্রহ ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা তুলেও ধরেছে। গাইবান্ধার পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনটি জাতীয় পার্টির দখলে। এ ছাড়া আর চারটি আসনই আওয়ামী লীগের। সে ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে মানুষকে করোনা ও বন্যায় সহায়তা করার আরও সক্ষমতা ছিল দলটির। যদিও ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির বড় কোনো অভিযোগ এখানে ওঠেনি। স্থানীয় ইস্যুতেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এখানে ভূমিকা রাখেনি। সরকারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় প্রসূতিদের রাস্তায় সন্তান প্রসবের মতো অমানবিক ঘটনায়ও জনগণ দল দুটোর কোনো ভূমিকা লক্ষ্য করেনি।