সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
ডিসেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিনের আশা

এবার ৪৪ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা

প্রতিদিন ডেস্ক

এবার ৪৪ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা

তৃতীয় ধাপে আরও বড় আকারে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করতে চায় মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া প্রস্তাবে ৪৪ হাজার  স্বেচ্ছাসেবীর ওপর টিকা প্রয়োগের কথা বলেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। সূত্র : রয়টার্স।

এর আগে তারা চূড়ান্ত এই পরীক্ষা ৩০ হাজার মানুষের ওপর করতে চেয়েছিল। ফাইজার ও বায়োএনটেক যৌথভাবে এ টিকা নিয়ে কাজ করছে। কোম্পানি দুটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনা টিকার পরীক্ষা পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তাদের ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী টিকা পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। এবারে তারা আগের লক্ষ্যের চেয়ে আরও ১৪ হাজার মানুষের ওপর টিকা পরীক্ষা করবে। এতে ১৬ বছর বয়সের কম কিশোর-কিশোরী, বিভিন্ন ধরনের রোগীর ওপর টিকা প্রয়োগে বাড়তি নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার তথ্য পাওয়া যাবে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বরাবরই টিকা পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলে আসছেন। এর মধ্যে বয়স্ক, বিভিন্ন বর্ণ ও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাযুক্ত মানুষের ওপর প্রয়োগের বিষয়টি রয়েছে। এতে সব ধরনের মানুষের ওপর টিকার কার্যকারিতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্র্যাজেনেকা ট্রায়াল ফের চালু : ব্রিটেনে ফের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে অ্যাস্ট্র্যাজেনেকা। গতকাল সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ কথা। ট্রায়ালে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তির শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় গত সপ্তাহের গোড়ায় আচমকা ট্রায়াল বন্ধ করে দিয়েছিল তারা।

ভ্যাকসিন আসবে ডিসেম্বরের মধ্যে : যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগবিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, এ বছরের ডিসেম্বর অথবা আসছে বছরের শুরুতেই অন্তত করোনার একটি ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের কাছ থেকে জরুরি অনুমোদন পাবে। তবে সঙ্গে সঙ্গেই সেটি সবার কাছে সহজলভ্য হবে না। সূত্র : সিএনএন। এমএসএনবিসির আন্দ্রে মিচেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান ফাউসি। তিনি বলেন, টিকাগুলো একত্রিত করা, বিতরণ করা, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রয়োগ করার সব প্রক্রিয়া শেষ হতে ২০২১ সালের মাঝামাঝি অথবা শেষ হবে। ফাউসি স্থানীয় সময় শুক্রবার আরও বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগের সময়ের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ২০২১ সাল শেষও হয়ে যেতে পারে। ওইদিন ধারাবাহিক বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে ফাউসি বলেন, টিকা করোনার সংক্রমণরোধে সাহায্য করবে। তবে সাবধানতারও প্রয়োজন রয়েছে। গ্লোবাল ফাইট ওয়েবিনারে ফাউসি টিকা হিমায়িতভাবে সংরক্ষিত রাখার বিষয় নিয়েও কথা বলেন। ওই ওয়েবিনারে ফাউসি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে যা যা করা দরকার মানুষ তা করছে না। জীবনযাপনে বদল এনে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। কিন্তু মানুষ যেভাবে চলছে তাতে আমি হতাশ। ফাউসি বলেন, টিভি ফুটেজে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি দেশে ও শহরে বার ও রেস্তোরাঁ ভরা মানুষ।

 এতে আমি অবাক হয়ে যাই। বিশেষ করে তরুণরা মনে করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলে তারা গুরুতর অসুস্থ হবে না। এ কারণে তারা বিষয়টি নিয়ে সচেতন নয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পাশাপাশি সাধারণ সর্দি, কাশির সংক্রমণ নিয়েও মানুষকে সচেতন থাকতে আহ্বান জানান ফাউসি।

সর্বশেষ খবর