নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতদের প্রত্যেক পরিবারকে আপাতত ৫ লাখ টাকা করে দিতে হাই কোর্টের নির্দেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত। একই সঙ্গে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের আবেদনের ওপর আগামী ১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সরকার ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের আবেদনে বিচারপতি নূরুজ্জামানের আদালত গতকাল এ আদেশ দেন। আদালতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার মেজবাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। রিট আবেদনকারীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। এদিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন দগ্ধ পাঁচজনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ৯ সেপ্টেম্বর এক অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে নিহত ও আহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে আপাতত ৫ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ দেন। সাতদিনের মধ্যে এই টাকা নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই টাকা পাবার পর তা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত। রুলে হতাহতের প্রত্যেকের পরিবারকে কেন ৫০ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
চিকিৎসাধীন ৫ জন আশঙ্কাজনক : মসজিদে বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন দগ্ধ পাঁচজনের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। তবে তারা এখনো শঙ্কামুক্ত নন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের একথা জানান আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল। তিনি বলেন, দগ্ধ পাঁচজনই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তাদের ক্লোজ মনিটরিং করা হচ্ছে। একজনকে অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) নিয়ে ড্রেসিং করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী দগ্ধ সবাইকে ড্রেসিং করা হয়। যেহেতু তাদের শ্বাসনালী দগ্ধ রয়েছে এজন্য হঠাৎ এসব রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে। পাঁচজনকেই যাতে বাঁচাতে পারি, সেই মতো কাজ করে যাচ্ছি।