সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে পাকিস্তানি গণমাধ্যমে নিবন্ধ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে নিবন্ধ ছেপেছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম। ইংরেজি ভাষার দ্য নিউজের অনলাইন ও প্রিন্ট ভার্সনে ‘এ স্টোরি অব নেগলেক্ট’ শিরোনামের একটি নিবন্ধ প্রকাশ হয়েছে। মনসুর আহমেদের লেখা নিবন্ধে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ নানা বিষয়ের প্রশংসা করা হয়েছে। এক সময়ের তলাবিহীন ঝুড়ির তকমা পাওয়া বাংলাদেশ যে সামাজিক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে দারিদ্র্যের হার কমিয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়েছে। মনসুর আহমেদ লিখেছেন, সামাজিক  খাতে অর্থবহ বিনিয়োগ ছাড়া দারিদ্র্যের সমাধান করা যায় না, কারণ বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করে। দুই দশক আগে যখন এই অঞ্চলে মাথাপিছু আয় ছিল সবচেয়ে কম এবং জিডিপিও কম ছিল। এখন বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানের চেয়েও বেশি আর বর্ধনশীল অর্থনীতির তালিকায় ভারতের পর বাংলাদেশের অবস্থান। অন্যদিকে পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় গত দুই বছর ধরে ক্রমাগত কমছে এবং প্রবৃদ্ধি আফগানিস্তানের চেয়েও কম। সামাজিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে আছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীদের মুক্তি, এসব খাতে বিনিয়োগ মানে শুধু উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগ নয়। এই অঞ্চলের অধিকাংশ দেশের তুলনায় বাংলাদেশ নারীদের উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা প্রোগ্রামের মাধ্যমে তারা শুধু গর্ভধারণই কমায়নি, নারীদের জীবনমানেও পরিবর্তন এনেছে। লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পরিকল্পনাকারীরা আন্তরিকতাহীন কাজের মূল্য দিচ্ছে। এই অঞ্চলে পাকিস্তানের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হার সবচেয়ে বেশি। ১৯৯০ সালের দিকে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি চালু করা বাংলাদেশে এখন ৮০ শতাংশ কর্মী নারী। এটি তাদের আয় এবং জীবনমান দুটোর উন্নতি করেছে। বাংলাদেশের নারীরা এখন পারিবারিক সুস্থতা রক্ষায় এবং সন্তানদের লেখাপড়ায় অনেক অর্থ খরচ করেন। অন্যদিকে পাকিস্তানের চিত্র ভিন্ন। আমরা নিম্নমানের শিক্ষা দিয়েছি বা পাবলিক সেক্টরের বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে কেবল দরিদ্রদের জন্যই শিক্ষা প্রদান করে দুটি বৈচিত্র্যময় পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। যদিও সরকার উপযুক্ত বেতনভাতা ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়। রাজ্য দ্বারা শিক্ষায় ব্যয় করা কোটি কোটি টাকা দিয়ে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে না পারার কারণে নষ্ট হয়। পাকিস্তানের সরকারি খাতের স্কুলগুলোতে ড্রপআউট হার বেশি। নিরক্ষর যুবকদের মধ্যে দক্ষতার অভাব রয়েছে। বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ডাক্তার, নার্স এবং প্যারামেডিকেল কর্মী এবং সেই সঙ্গে দেশে রাষ্ট্র পরিচালিত ক্লিনিকের সংখ্যা বেশি থাকতে পারে, তবে বাংলাদেশিদের পাকিস্তানিদের চেয়ে আয়ু বেশি। শিশু মৃত্যু হার পাকিস্তানের অর্ধেক বাংলাদেশের। বাংলাদেশ একটি পোলিও মুক্ত দেশ। আর আমাদের পাবলিক সেক্টর হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলো নিম্নমুখী হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর