জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছিল গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা আর দুর্যোগ-সংকটে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আদর্শিক কারণেই দেশের যে কোনো সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আসছে আওয়ামী লীগ। করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাত দিনের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ৭০৩টি ত্রাণ কমিটি গঠন করা হয়। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে জামালপুরের মানুষ যখন চরম মানবিক সংকটে পড়ে, তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মানবিকতার উদাহরণ তৈরি করে মানুষের ঘরে ঘরে সেবা পৌঁছে দিয়েছে। জামালপুরে কর্মহীন কোনো মানুষ যাতে অভুক্ত না থাকে সেই লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ব্যক্তিগতভাবে এক কোটি টাকা দিয়ে জামালপুরের সাত উপজেলায় দেড় লাখ পরিবারের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার পৌঁছে দিয়েছে। যে কারণে এই সংকটে কর্মহীন একটি মানুষও না খেয়ে দিনযাপন করেছে এমন কাউকে জামালপুরে খোঁজে পাওয়া যাবে না। এ ছাড়া মির্জা আজমের ব্যক্তিগত উদ্যোগে জামালপুরের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। জামালপুরের মানুষের করোনা পরীক্ষার সুবিধার্থে এ জেলার উন্নয়নের রূপকার মির্জা আজমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সব সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা ব্যক্তিগত অর্থায়নে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের মধ্যে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, জাতীয় শোক দিবস, বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকীতে মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কার্যনির্বাহী কমিটির সভা, বর্ধিত সভা সম্পন্ন করে শাখা সংগঠনসমূহের সম্মেলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।