মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

দুর্নীতি মামলায় ওসি প্রদীপ গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার আসামি  টেকনাফের বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে চট্টগ্রামে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান শুনানি শেষে প্রদীপকে দুদকের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ  দেন। দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ওসি প্রদীপের জামিন এবং সুচিকিৎসার আবেদন করেছেন। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে বলেছে। আর জামিনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ২০  সেপ্টেম্বর দিন রেখেছেন। এর আগে প্রদীপ কুমার দাশকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৩ আগস্ট প্রদীপের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। মামলায় প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকি কারণকেও আসামি করা হয়েছে। চুমকি পলাতক রয়েছেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত, স্থানীয় ও দুদকের মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, প্রদীপের বাবা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নিরাপত্তাপ্রহরী ছিলেন। ১৯৯৫ সালে পুলিশে উপপরিদর্শক পদে যোগ দেন প্রদীপ। ২০০২ সাল থেকে তার সম্পদগুলো দৃশ্যমান হতে থাকে। চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় প্রদীপের স্ত্রী চুমকি তার বাবার কাছ থেকে ছয়তলা বাড়ি দানপত্রমূলে পেয়েছেন বলে সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেন। কিন্তু চুমকির দুই ভাই ও আরেক বোন বাবার কাছ থেকে বাড়ি পাননি। কাগজপত্রে বাড়িটি তার শ্বশুরের নামে কেনেন। পরে শ্বশুরের কাছ থেকে দানপত্রমূলে নিবন্ধন করে নেন ২০১৩ সালে। ওসি প্রদীপের সব সম্পত্তিই তার গৃহিণী স্ত্রী চুমকির নামে। এর কোনো বিশ্বাসযোগ্য জ্ঞাত আয়ের উৎসই নেই। চুমকির নামে ৪ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৯ টাকার সম্পদ থাকার প্রমাণও পেয়েছে দুদক। এটা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে সম্পদ কিনে স্ত্রীর নামে রেখেছেন বলে দুদক অনুসন্ধানে তথ্য পেয়েছে।

সর্বশেষ খবর