মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রবাসে গিয়ে লাশ হলো কিশোরী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

সংসারের অভাব দূর করতে কিশোরী উম্মে কুলসুমকে (১৪) সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছিল। বেতনের পরিবর্তে আসে লাশ। সে দেশের হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে কিশোরী কুলসুম।

কুলসুম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। গত শুক্রবার দিনগত রাত দেড়টায় তার লাশ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও পরে শনিবার দুপুরে গ্রামের বাড়ি পৌঁছায়। গত ১৭ আগস্ট জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোয় কিশোরীর বাবা মেয়ের লাশ ও আট মাসের বকেয়া বেতন ফেরত পেতে একটি  লিখিত দেন। লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় দালাল রাজ্জাক মিয়ার মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ১৭ মাস আগে মেসার্স এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের (আর এল নম্বর ১১৬৬) মাধ্যমে কুলসুমকে গৃহকর্মীর কাজে সৌদি আরব পাঠানো হয়। সেখানে গৃহকর্মী হিসেবে যোগদানের পর থেকেই কুলসুমের ওপর শারীরিক ও যৌন নির্যাতন শুরু করে মালিকপক্ষ। নির্যাতনের কারণে মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। চার মাস আগে গৃহকর্তা ও তার ছেলে মিলে কুলসুমের দুই হাঁটু, কোমর ও পা ভেঙে দেয়। এর কিছুদিন পর একটি চোখ নষ্ট করে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কিং ফয়সাল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৯ আগস্ট কুলসুম মারা যায়। নিহতের মা পুলিশের কাছে বারবার গিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেন। নাসিরনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক কবির বলেন, ‘প্রবাসীর লাশের খবর জানতে পেরেছি। তার দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। কোনো অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর